ফের রেপো রেট বাড়াল আরবিআই, বাড়ছে গাড়ি এবং হোম লোনের সুদের হার

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ, এবং আর্থিক বৃদ্ধির হার বজায় রাখার দায়বদ্ধতা। অর্থনীতিতে সাড়াশি চাপ সামাল দিতে ফের রেপো রেটে হাত দিতে হল আরবিআইকে। ফের বৃদ্ধি পেল রেপো রেট। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেল ঘোষণা করলেন এই কোয়ার্টারের জন্য ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হচ্ছে রেপো রেট। নতুন রেট হচ্ছে ৬.৫। রিভার্স রেপো রেটে অবশ্য পরিবর্তন করা হয়নি। তা থাকছে ৬.২৫ পয়েন্টেই। গত মাসেই রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রিজার্ভ ব্যংক। চারবছরের মধ্যে সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। এমাসে আবারও ব্যাংকগুলিকে ধার দেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়ালো শীর্ষ ব্যাংক। ২০১৩ সালের অক্টোবরের পর এই প্রথম পরপর দুটি মানেটারি পলিসি নির্ধারক বৈঠকে রেপো রেট বাড়াতে হল রিজার্ভ ব্যাংককে।

WATCH Live from Mumbai: RBI Governor Urijit Patel addresses the media

আরও পড়ুন:

• হঠাৎ রাষ্ট্রপতি ভবনে মুর্মুর সঙ্গে বৈঠক মোদির, আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে জল্পনা
• ২০৪৭ সালের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ হবে বিশ্বসেরা, লক্ষ্য বেঁধে দিলেন যোগী

Advertisement

— ANI (@ANI)

আরও পড়ুন:

• সস্ত্রীক অযোধ্যার রামমন্দিরে পুজো দিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী, ছবি-সহ পোস্ট মোদির
• হাই কোর্টে মেলেনি স্বস্তি, জামিন পেতে এবার সুপ্রিম দ্বারে দিল্লি হিংসায় অভিযুক্ত সার্জিল ইমাম

RBI's Monetary Policy Committee has decided to increase the policy repo rate under the liquidity adjustment facility (LAF) by 25 basis points to 6.5% Consequently, the reverse repo rate under the LAF stands adjusted to 6.25% & marginal standing facility rate & Bank Rate to 6.75%

— ANI (@ANI)

/script>

[এনআরসি-তে নাম না থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের]

বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা, আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের বর্ধিত দাম এবং বিশ্ববাজারে বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার চাপকেও এর জন্য দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদরা। রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে বাড়ি, গাড়ি-সহ বিভিন্ন ঋণের ক্ষেত্রে বাড়তে পারে মোট সুদের পরিমাণ। ফলে আগামী মাস থেকে বাড়তে পারে ইএমআইয়ের পরিমাণও।

[বিজেপিকে বিপাকে ফেলে আডবানীর সঙ্গে বৈঠক মমতার]

শুধু রেপো রেট নয় চিন্তায় রাখছে মুদ্রাস্ফীতির হারও। আগামী আর্থিক বছরের প্রথম কোয়ার্টারের জন্য মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৫ শতাংশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪.৮ শতাংশ। এর আগে রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ শতাংশ। বিরোধীরা বলছেন এতেই স্পষ্ট সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ।