সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মেয়ে কে কবিতাকে মঙ্গলবারই সাসপেন্ড করেছিলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিআরএস ছেড়েছেন কেসিআর-কন্যা। দাবি করেছেন, তাঁর তুতো দাদা হরিশ রাও এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি একসঙ্গে মিলে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের বীজ বপন করেছেন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন রেবন্ত। কবিতার দাবি উড়িয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিআরএস নেতারা এখন কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত। তিনি এসবের অংশ নন।
বিআরএস এবং কেসিআর-কন্যাকে খোঁচা দিয়ে রেড্ডি বলেন, “আগে আপনারা মিথ্যা মামলায় নেতাদের জেলে পুরেছিলেন। আর আজ আপনারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়েছেন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে পেটে ছুরি মারছেন। আপনারা নিজেরাই একে অপরকে শেষ করে ফেলবেন। দুর্নীতির টাকা ভাগাভাগিতে মতপার্থক্যের কারণে, আপনাদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “পাপ থেকে বাঁচতে পারবেন না। পাপ তাড়া করেই যাবে। তাই তার পরিণতিও ভোগ করতে হবে। আমি এই ধরনের লোকজনের সংস্পর্শ থাকি না।”
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দল এবং বিধান পরিষদের সদস্যপদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন কেসিআর-কন্যা। তিনি বলেন, “কেসিআর আমার অনুপ্রেরণা। তেলেঙ্গানায় দলিত এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের প্রতি তিনি ন্যায়বিচার করেছেন। কিন্তু দলের অন্দরেই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয় থেকেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই সব কিছুর মূলে রয়েছেন তাঁর তুতো দাদা হরিশ রাও। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে মিলে তিনি চক্রান্তের বীজ বপন করেছেন। পাশাপাশি, কবিতা আঙুল তুলেছেন তাঁর আরও এক তুতো ভাই সন্তোষের দিকেও। কেসিআর-কন্যার স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁর দুই তুতো ভাই নিজেদের স্বার্থে পরিবার ভেঙেছেন।” কবিতার এই মন্তব্যের পরই তাঁকে একহাত নিলেন রেবন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.