রাজভবনে এই ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যেহেতু সংবিধান এই ছবিকে স্বীকৃতি দেয় না, তাই সরকারি অনুষ্ঠানে ভারতমাতার ছবি রাখার কোনও কোনও অর্থ নেই।’ এই যুক্তিতেই রাজভবনে পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠান বয়কট করল কেরলের বাম সরকার। সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, রাজভবনকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই ওই অনুষ্ঠান বয়কট করা হয়েছে সরকারিভাবে।
এই বিতর্কের সূত্রপাত পরিবেশ দিবসের দিন। সরকারি এই অনুষ্ঠান পালনের কথা ছিল রাজভবনে। অভিযোগ, এই অনুষ্ঠানে ভারত মাতার এক ছবি ব্যবহার করা হয়। যেখানে সিংহের সামনে ধ্বজা হাতে এক দেবীমূর্তি। ভারত মাতার প্রতীক হিসেবে এই ছবি ব্যবহার করে আরএসএস ও অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। রাজভবনে পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কেরলের কৃষিমন্ত্রী পি প্রসাদের। বিষয়টি সামনে আসার পর তিনি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
এরপর শুক্রবার সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, রাজভবনে পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতমাতার ছবি ব্যবহারে সরকারের তরফে সম্মতি দেওয়া হয়নি। কারণ এই ধরনের ছবি ভারত সরকার বা সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত নয়। সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই ফলেই রাজভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠান বয়কট করা হয়েছে সরকারের তরফে। সরকারের পাশাপাশি কেরলের মন্ত্রী প্রসাদ বলেন, “রাজভবনে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তা আরএসএস ব্যবহার করে। ফলে কোনও সাংবিধানিক স্থানে এই ছবি ব্যবহার ঠিক নয়। সাংবিধানিকভাবে যা স্বীকৃত নয়, তা সরকারি অনুষ্ঠানে ব্যবহার মানা যায় না। ওনাকে ছবিটি সরানোর জন্য বলা হয়েছিল, উনি রাজি হননি। তাই রাজভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সরকারি অনুষ্ঠান।”
এই ঘটনার পর কেরলের রাজ্যপাল এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানান, “মন্ত্রী চেয়েছিলেন ভারতমাতার ছবি রাজভবন থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু আমি তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, কোনওভাবেই এটা সম্ভব নয়। ভারতমাতাকে সরানো যাবে না। যে কোনও মহল থেকেই চাপ আসুক না কেন, ভারতমাতার সঙ্গে কোনও আপস নয়।” এদিকে রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, “রাজভবনে কী ব্যবহার করা উচিত, আর কী উচিত নয় কোনও মন্ত্রী সে বিষয়ে নির্দেশ দিতে পারেন না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.