সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি যুক্ত করা হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। যে সময় দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। ওই শব্দ দু’টি আম্বেদকর লিখিত সংবিধানে ছিল না। তাই এবার সেগুলি বাদ দেওয়া হোক। এমনই প্রস্তাব দিলেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে।
দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”এমার্জেন্সির সময় ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি যোগ করা হয় ভারতীয় সংবিধানে। এগুলি সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ছিল না। পরে এই শব্দগুলি আর সরানো হয়নি। এগুলিকে সরানো হবে কিনা তা নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক হওয়া দরকার। এমার্জেন্সির সময় অধিকার ছিল না, ন্যায়বিচার ছিল না। সেই সময়ই এই শব্দগুলি যোগ করা হয়।”
এরপরই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নাম না করে তাঁকে খোঁচা দিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”যাঁরা এটা করেছিলেন (এমার্জেন্সি), তাঁরাই আজ সংবিধানের কপি নিয়ে ঘুরে বেড়ান। ওঁরা কিন্তু আজ পর্যন্ত ভারতীয় জনতার কাছে কৃত কর্মের জন্য কোনও ক্ষমা চাননি।”
প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আনা সংশোধনীর ফলে সংবিধানের প্রস্তাবনায় যুক্ত হয়েছিল দু’টি শব্দ। যার ফলে ভারত ‘সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র’ থেকে ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র’-এ পরিণত হয়। এর আগের বছর দেশব্যাপী জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় নির্বাচনে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এবং ছয় বছরের জন্য তাঁকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করেছিল। এরপরই জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সাংবিধানিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা স্থগিত হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা শুরু হয়। এবছর ৫০ বছর পূর্ণ করল এমার্জেন্সি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায়’ বলে এমার্জেন্সির সমালোচনা করে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছিলেন। প্রতি বছর এই দিনটা ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.