সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, এনআরসি’র পর প্রতিবাদে জ্বলছে অসম। আর এই অশান্ত সময়েই বিশিষ্ট সমাজকর্মী অখিল গগৈকে একেবারে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করল এনআইএ। তাঁকে বৃহস্পতিবার জোড়হাট থেকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার সংশোধিত (UAPA) ধারায় রুজু হয়েছে মামলা। যা নিয়ে ফের তোলপাড় অসমের বিশিষ্ট মহলে।
এনআইএ সূত্রে খবর, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির পরামর্শদাতা অখিল গগৈ জোড়হাটের ডেপুটি কমিশনার কার্যালয়ের সামনে ধরনায় বসেছিলেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে। দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধানোর চেষ্টা করছেন, এই সন্দেহে আগে থেকেই তাঁর উপর নজর রেখেছিলেন এনআইএ গোয়েন্দারা। CAA’র প্রতিবাদ করায় তাঁদের সেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। আর দেশদ্রোহিতা আইনের সংশোধিত ধারা অনুযায়ী, কাউকে ‘জঙ্গি’ বলে সন্দেহ হওয়ামাত্রই তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে। সেইমতো অখিল গগৈকে গ্রেপ্তার করে (NIA)। আইনজ্ঞদের একাংশের দাবি, দেশদ্রোহিতা আইনের নতুন ধারাটি কার্যকর হওয়ার পর অখিল গগৈই প্রথম ব্যক্তি, যাঁর উপর লাগু হচ্ছে এই ধারা।
অখিল গগৈ (RTI) বা তথ্যের অধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য সুবিদিত। একাধিক সম্মানেও ভূষিত তিনি। বছর দশেক আগে থেকে অসম এবং অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে একটি জলপ্রকল্প তৈরির বিরোধিতায় আন্দোলন সংগঠিত করেছে। তাঁর সংগঠন কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির চাপে সেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এসবের পরই রাষ্ট্রের নজর পড়ে তাঁর দিকে। বাড়তে থাকে নজরদারি।
গ্রেপ্তারির দিন তিনেক পর গগৈয়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এনআইএ এবার থেকে পুরোপুরি তাঁর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নিচ্ছে। অসমের অশান্ত পরিস্থিতি সামলাতে এনআইএ-র আইজি (IG) জিপি সিংকে গুয়াহাটি পাঠানোর পরই অখিল গগৈয়ের গ্রেপ্তারি অন্য সমীকরণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.