Advertisement
Advertisement
Supreme Court

‘চন্দননগরের রুশ বধূ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন’, আদালতে রিপোর্ট পেশ কেন্দ্রের

কেন্দ্রের হলফনামায় কার্যত ভেঙে পড়লেন চন্দননগরের সৈকত।

Russian woman leave India, says central to Supreme Court
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:July 22, 2025 12:22 pm
  • Updated:July 22, 2025 12:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আদালতে যে তথ্য পেশ করল কেন্দ্র, তাতে কার্যত ভেঙে পড়েছেন চন্দননগরের সৈকত বসু। এদিন আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে যে বিহার, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি হয়ে ছেলেকে নিয়ে রাশিয়া চলে গিয়েছেন সৈকতের ভিক্টোরিয়া। যদিও বিমান পরিবহণ সংস্থা এখনও কোনও তথ্য দেয়নি, তবে ভিক্টোরিয়ার ইমেলের আইপি অ্যাড্রেসের লোকেশন দেখেই এই বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।

Advertisement

আদালতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ৮ জুলাই তাঁকে বিহারে শেষবার দেখা গিয়েছে। ১৬ জুলাই তিনি রাশিয়া পৌঁছে গিয়েছেন। কেন্দ্রের এই বক্তব্যের পরই বিরক্ত দেখায় বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞকে। ক্ষুব্ধ আদালত জানতে চায়, পাসপোর্ট জমা থাকার পরও কীভাবে তারা দেশ ছাড়তে পারে। এই ঘটনায় রাশিয়া দূতাবাসের কেউ জড়িত থাকতে পারে, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত। সৈকতের সন্তানকে ফেরত আনতে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হতে পারে, এই ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত। সব তথ্য জানিয়ে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে রেড কর্নার নোটিস জারি করা হতে পারে।

গোটা ঘটনায় সৈকত জানান, “যেটা সন্দেহ ছিল, সেটাই হল। আমার ছেলের ভারতীয় পাসপোর্ট আদালতে জমা রয়েছে। তার মানে রাশিয়ান দূতাবাস জাল পাসপোর্ট তৈরির চক্র চালাচ্ছে। আমার হাতে আর কিছু নেই, সরকারের উপরই সব। পরের সপ্তাহের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি ছেলেকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে রাষ্ট্র।”

উল্লেখ্য, চন্দননগরের বাসিন্দা সৈকত বসু কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন চিনে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় রাশিয়ার ভিক্টোরিয়া জিগালিনার। পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ে করে চন্দননগরের বাড়িতে ফেরেন যুগল। তখনই সৈকত ও বসু পরিবার জানতে পারে ভিক্টোরিয়ার বাবা ছিলেন রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ‘এফএসবি’-র প্রাক্তন আধিকারিক। সৈকতের দাবি, বিয়ের পর থেকে ফোর্ট উইলিয়ামে যাওয়ার জন্য চাপ দিতেন থাকেন স্ত্রী। কিন্তু সৈকতের বাবা প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার সমীর বসু সেই অনুরোধে বেঁকে বসেন। সৈকতের দাবি, তাতেই ভিক্টোরিয়া সন্তানকে শুধুমাত্র নিজের কাছে রাখার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান। সেই মামলা চলাকালীন হঠাৎই সন্তানকে নিয়ে উধাও হয়ে যান ভিক্টোরিয়া। গত ৪ জুলাই শেষবার ওই রুশ নাগরিককে এক আধিকারিকের সঙ্গে দিল্লির রাশিয়ান দূতাবাসে দেখা গিয়েছিল। এবার তাঁর দেশ ছাড়ার তথ্য নিশ্চিত করল কেন্দ্র।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement