সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) ঘোষণাপত্রে ভারতের সই না করা নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পাশে দাঁড়ালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পাকিস্তানকে বিঁধে তিনি বলেন, “ঘোষণাপত্রে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কোনও স্বীকারোক্তি ছিল না। শুধুমাত্র একটি দেশ এবিষয়ে মুখ খুলতে অস্বীকার করে।”
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জয়শংকর। সেখানে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই এসসিও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু রাজনাথজি যখন এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন এবং চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখন একটি দেশ সেখানে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি উল্লেখ করতে অস্বীকার করে। সন্ত্রাসবাদের উল্লেখ ছাড়া ভারতের কাছে এই ঘোষণাপত্রটির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।” তাঁর সংযোজন, “এসসিও সর্বসম্মতিতে কাজ করে। কোনও বিষয় নিয়ে যদি একটি দেশেরও আপত্তি থাকে, তাহলে কিছুই এগোয় না। তাই রাজনাথজি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, সন্ত্রাসবাদকে স্বীকৃতি না দিলে ভারত এই ঘোষণাপত্র সই করবে না।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এসসিও-র ঘোষণাপত্রে সই করতে অস্বীকার করেন রাজনাথ। সূত্রের খবর, পহেলগাঁও সন্ত্রাসের কথা তো দূর। উলটে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে অশান্তি ছাড়ানোর অভিযোগ আনা হয় ওই ঘোষণাপত্রে। পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের অবস্থান এবং পাকিস্তান কীভাবে প্রত্যক্ষে জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে, সেটা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে ভারত। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে কূটনৈতিকভাবে ইসলামাবাদের পাশে থেকেছে ‘বন্ধু’ বেজিং। এদিকে আবার এসসিও বৈঠকের সভাপতিত্বও করে চিন। তাই ওয়াকিবহলা মহলের মতে, ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই ঘোষণাপত্রে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ সরিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে এধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই নথিতে পাকিস্তানের বালোচিস্তানের কথা উল্লেখ থাকলেও পহেলগাঁওয়ের সেই নৃশংস ঘটনার কোনও উল্লেখ ছিল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.