বাংলার অপমানে ফুঁসছেন ‘ধন্যি মেয়ে’, দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিবাদে পোস্টার হাতে জয়া বচ্চন

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্তের টানে বাঙালি, মাটি তাঁর বাংলা। দীর্ঘদিন মুম্বই প্রবাসী হলেও বাংলার শিকড় ভোলেননি। এমনকী রাজনৈতিক জীবনেও সহমতের ভিত্তিতে বাংলার শাসকদলের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বলা হচ্ছে ‘ধন্যি মেয়ে’ জয়া বচ্চনের কথা। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে সংসদ ভবনের বাইরে তৃণমূল সাংসদদের পাশে জয়াকে দেখে মনে পড়ে যাচ্ছে, বাংলার প্রতি তাঁর কর্তব্যের কথা। এদিন বাংলা ও বাঙালি হেনস্তা ইস্যুতে সংসদের বাইরে তৃণমূলের প্রতিবাদে শামিল হলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদও। দোলা সেন, মালা রায়দের পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান তুললেন, ‘জাতীয় সঙ্গীতের অপমান দেশদ্রোহিতার সমান।’

| Delhi | TMC MPs, including Yusuf Pathan (former cricketer and party MP from Murshidabad) and SP MP Jaya Bachchan, protest over Bengali language row.

আরও পড়ুন:

• ‘গাজা শান্তি সম্মেলনে’ যোগ দেবে ভারত! তবে মোদি নন, দিল্লির দূত বিদেশ প্রতিমন্ত্রী
• এমফিল করেও ব্যাঙ্ক ডাকাতি! মেধাবী ছাত্রের আশ্চর্য কাণ্ডে চমকে গেল পুলিশ

Advertisement

— ANI (@ANI)

আরও পড়ুন:

• ‘তালিবানের সঙ্গে হৃদ্যতা অথচ দেশের মুসলিমদের…’, মোদি সরকারকে তোপ মেহবুবার
• সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী, ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রার ঘোষণা যোগীর

বাংলা ভাষা ও বাঙালির উপর ভিনরাজ্যে হেনস্তা, ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে ধরপাকড়, ‘পুশব্যাক’ বিতর্কে কেন্দ্র বিরোধী প্রতিবাদে আলোড়ন পড়েছে গোটা দেশেই। বাংলার শাসকদল তৃণমূল সর্বপ্রথম বিষয়টি নিয়ে সরব হয়। ধীরে ধীরে ভাষা-সন্ত্রাস নিয়ে বাংলার পাশে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলিও। সংসদের বাদল অধিবেশনে প্রায় প্রতিদিনই তৃণমূল সাংসদরা এই ইস্যুতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। মঙ্গলবারও অধিবেশন শুরুর আগে হাতে পোস্টার, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন লোকসভা ও রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদরা। ‘বাংলার অপমান মানছি না, মানব না’ বলে সমস্বরে স্লোগান তোলেন ছিলেন দোলা সেন, মালা রায়, মহুয়া মৈত্র, জুন মালিয়া, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা।

এমন সময়েই দেখা যায়, রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে এসে সেই বিক্ষোভে যোগ দেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ তথা ‘বাংলার মেয়ে’ জয়া বচ্চন। কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায়ের সঙ্গে সামান্য কথা বলেই একটি পোস্টার হাতে নেন তিনি। তাতে লেখা ‘জাতীয় সঙ্গীতের অপমান দেশদ্রোহিতার সমান।’ বেশ কিছুক্ষণ ধরে সেই বিক্ষোভে ছিলেন জয়া। সংসদে বাংলা ভাষা ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে অন্য বিরোধী দলের সাংসদের উপস্থিতি সত্যিই নজরকাড়া। এই প্রথম নয়, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চনকে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করতে। সেবার ভবানীপুর এলাকায় র‌্যালি করেছিলেন ‘ধন্যি মেয়ে’। আর্জি জানিয়েছিলেন, বাংলার নিজের মেয়েকে ফের ক্ষমতায় আনার। সেবার বিপুল জনসমর্থন নিয়েই অবশ্য ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল সরকার। বাংলার প্রতি সেই টান যে জয়া আজও ভোলেননি, মঙ্গলবারের ছবিটাই তার প্রমাণ। সত্যিই তিনি ‘ধন্যি মেয়ে’!