সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি এসসিও বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির ‘বন্ধুত্ব’ বহু পুরনো। কিন্তু চিন ও ভারতের এমন ‘নৈকট্য’ বিস্মিত করেছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশকে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল জানালেন, এর পিছনে আসলে রয়েছে ভারতেরই স্বার্থ।
আসলে বারবারই সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে এশিয়ার দুই মহাশক্তি। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন মসনদে প্রত্যাবর্তনের পর ভূরাজনৈতিক সমীকরণে যে বদল লক্ষ করা গিয়েছে সেখানে চিন ও ভারতকে কাছাকাছি দেখা গিয়েছে। আর এই প্রসঙ্গেই এক সংবাদমাধ্যমের কনক্লেভে তিনি বলেন, ”চিন ও ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বহুদিন ধরেই একটি ইস্যু। গালওয়ানের পরে যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুতরাং এবার আমরা দেখতে চাই বিষয়টা কোনদিকে যায়। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাওয়াটা আমাদের স্বার্থের মধ্যেই পড়ে।”
তবে তিনি একথা বললেও প্রশ্ন উঠছে, আখেরে সম্পর্ক যতই ভালো হোক বাণিজ্য ঘাটতি কি মেটানো সম্ভব। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, চিনের মতোই ভারতের বাজারকেও গোটা বিশ্বের কাছে আরও বেশি করে খুলে দিতে হবে। কিন্তু চিনের একাধিপত্য খর্ব করা যায়নি। অদূর ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা কতটা তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। সেক্ষেত্রে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের নৈকট্যেও এই জট কাটবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আগামিদিনে বিষয়টা কোনদিকে গড়ায় সেদিকেও নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.