ফাইল ছবি
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বিহারে নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনে আপাতত স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার দীর্ঘ শুনানির পর শীর্ষ আদালতে সুপারিশ, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ডকেও বৈধ নথি হিসাবে গ্রহণ করতে হবে সংশোধন চলাকালীন। তবে স্থগিতাদেশ না দিলেও শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ঠিক এই সময়েই কেন সংশোধনের কাজ শুরু করল নির্বাচন কমিশন?
ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার সেগুলি একত্র করে শুনানি শুরু হয়েছে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে। এদিন শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ দাবি করেন, ১৯৫০ সালের আইন এবং ভোটার অন্তর্ভুক্ত আইনের অধীনে ভোটার তালিকায় দু’টি ধরনের সংশোধনের কথা বলা রয়েছে। এক, নিবিড় সমীক্ষা। দুই, সংক্ষিপ্ত সমীক্ষা। কিন্তু কমিশন যে স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা নিবিড় সংশোধন সেটা বস্তুত একেবারে শুরু থেকে ভোটার তালিকা তৈরির মতো বিষয়। এর কোনও উল্লেখ আইনে নেই। এটা ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, যে নথিগুলিকে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসাবে চাইছে সেই নথিগুলি জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসাবে মোট ১১টি নথির তালিকা দিয়েছে কমিশন। কিন্তু অনেক ভোটারের কাছে এই ১১ নথির কোনওটিই নেই। সেইসব ভোটারদের আবার অধিকাংশই প্রান্তিক, দরিদ্র। তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। সেকারণেই SIR-এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে একাধিক দল। সেই তালিকায় রয়েছে আরজেডি, কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, “নির্বাচন কমিশনকে সন্দেহ করার কোনও কারণ নেই। প্রামাণ্য নথিপত্র খতিয়ে দেখতে চাইছে কমিশন। আপাতত সমীক্ষা চলুক। আগামী ২৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব পেশ করতে হবে ইসিআইকে।” আধার কার্ড-সহ তিনটি পরিচয়পত্রও যেন প্রামাণ্য নথি হিসাবে গ্রহণ করা হয়, সেই সুপারিশ করেছে শীর্ষ আদালত। কেন সেই নথি গৃহীত হবে না, সেই জবাব পেশ করতে হবে কমিশনকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.