ফাইল ছবি
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় রিভিউ পিটিশন অর্থাৎ পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট। এই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদন খারিজ করে দিল বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ।
এদিন শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, ‘২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল এই মর্মে বিস্তারিত যুক্তি তর্ক আলোচনার পর যথাযথযোগ্য রায় দেওয়া হয়েছে। নতুন করে এই বিষয়ে শুনানির অবকাশ নেই। এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নেই।’ উল্লেখ্য, শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের তরফেও এই সংক্রান্ত একটি আবেদন জানানো হয়। এদিন মঙ্গলবার সেই আবেদনও সর্বোচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, বাতিল হয়ে যায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল। যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করতে না পারার কারণেই বাতিল হয় ওই প্যানেল।
একই সঙ্গে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও এহেন নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন অর্থাৎ এসএসসি। একই সঙ্গে রাজ্যের তরফেও রিভিউ পিটিশন জানানো হয়। তবে সবার আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আবেদনে পর্ষদ জানায়, এত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে ভেঙে পড়বে শিক্ষা ব্যবস্থা। অনেক স্কুলে শিক্ষক শূন্য হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ আদালত পর্ষদের এহেন আবেদন যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, নবম-দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। তবে এক্ষেত্রে অযোগ্যদের বাদ রাখতে হবে বলেও জানায় আদালত।
অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ মেনে ৩১ মে-র মধ্যে নতুন করে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য। আগামী ৭ ও ১৪ই সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষা হবে। নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া হবে প্রথমদিন। দ্বিতীয় দিন হবে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.