সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আরএসএসকে নিয়ে বিতর্কিত কার্টুন বানিয়েও স্বস্তি পেলেন কার্টুনিস্ট হেমন্ত মালব্য। মঙ্গলবার তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে রক্ষাকবচ পেলেও শীর্ষ আদালতে প্রবল তিরস্কারের মুখে পড়লেন হেমন্ত। বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ভর্ৎসনা করে বলেন, সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। যা খুশি তাই করছে।
হেমন্ত মালব্য নামের ওই কার্টুনিস্ট সোশাল মিডিয়ায় নিয়মিত একের পর এক কার্টুন শেয়ার করেন। অধিকাংশই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর বিভিন্ন নীতিকে নিশানা করে। সদ্য ভারত-পাক যুদ্ধের আবহেও একাধিক বিতর্কিত কার্টুন পোস্ট করেছেন তিনি। যার সারমর্ম, ট্রাম্প এবং পাকিস্তানকে ভয় পাচ্ছেন মোদি। ট্রাম্পের চাপেই যুদ্ধবিরতি করেছে ভারত। তারও আগে করোনা অতিমারির সময়েও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে আপত্তিকর কার্টুন শেয়ার করেন তিনি। ঘটনাচক্রে ওই পোস্টগুলির জেরে ওই কার্টুনিস্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আরএসএসের এক কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছেন।
আরএসএসের ওই কর্মীর অভিযোগ, ভগবান শিবকে নিয়ে কার্টুন এঁকে হিন্দুদের ভাবাবেগ আঘাত করেছেন হেমন্ত। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৬, ১৯৯ এবং ৩৫২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই কার্টুনিস্টকে এখনও গ্রেপ্তার করা না হলেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের তরফে সমন পাঠিয়ে ওই কাজের ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। রীতিমতো বিপাকে পড়ে গত ৩ জুলাই মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন ওই কার্টুনিস্ট। যদিও সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
তবে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন হেমন্ত। তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। হেমন্তকে তীব্র ভর্ৎসনা করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, “এটা অত্যন্ত বাড়াবাড়ি হচ্ছে। যে কেউ যাকে খুশি যা খুশি বলছে। এই মামলা নিয়ে শেষ পর্যন্ত যাই হোক না কেন, এটুকু স্পষ্ট বলা যায় এই ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার হয়েছে।” সেই সঙ্গে হেমন্তকে সতর্ক করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী দিনে যদি তিনি আবারও এমন পোস্ট করেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.