বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের ব্যর্থতার নেপথ্যে এবার বিজেপি-আরএসএসকে দায়ী করল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। শনিবার দিল্লিতে আর জি কর কাণ্ডের একবছরে সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চায়নি, তাই তদন্তের অগ্রগতি হয়নি। আসলে কেন্দ্রে মোদি সরকার আসার পর থেকেই দেশজুড়ে নারীদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। বিজেপি নারীবিদ্বেষী বলেই এমনটা হচ্ছে বলে দাবি করেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ঐশী ঘোষও।
এসএফআইয়ের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একদিকে বলছেন নারীশক্তির কথা। ব্যাপক প্রচার চলছে ‘বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও’ প্রকল্প নিয়ে। অথচ সেই সরকারেরই ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রেকর্ড ঠিক তার উলটো পরিসংখ্যান দিচ্ছে। শনিবার এদিন সংগঠনের তরফে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। এই পুস্তিকায় ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো ও ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে ভারতে মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতা, কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা ও যৌন নির্যাতনের প্রবণতাগুলির উপর আলোকপাত করা হয়।
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ থেকে ওড়িশার বালাসোরের এফএম কলেজ, হাথরাস, উন্নাও প্রসঙ্গ তুলে সৃজন, ঐশীরা অভিযোগ করেন, এগুলো একক ঘটনা নয়, বিগত ১০ বছরে সরকার-পুলিশ ইত্যাদি ক্ষমতাশালী বৃত্তের মদতেই সমাজে নারীদের উপর হিংসাত্মক মনোভাব বেড়ে চলেছে। বিশেষত ছাত্রীদের যে সকল পরিকাঠামোগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেই বিষয়ে উদাসীন সরকার। ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প কেবলই নারীবিদ্বেষী আরএসএস-বিজেপির ঢক্কানিনাদ বলে অভিযোগ সংগঠনের নেতৃত্বের। আর জি করের ঘটনায় বিজেপি-তৃণমূল বোঝাপড়ার কারণেই সিবিআই তদন্ত ধামাচাপা দিয়ে দিল কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছে এসএফআই নেতৃত্ব। আসলে এতদিন আর জি করের ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়নি বলে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল রাজ্য সরকার ও শাসকদল তৃণমূলের দিকেই। এবার সেই অবস্থান থেকে সরে আসলে কারা দায়ী, তা স্বীকার করে নিল বাম ছাত্র সংগঠন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.