সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে লোকসভা ভোট এবং কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশন কারচুপি করেছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো কয়েকটি রাজ্যের উদাহরণও দিয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কংগ্রেস নেতার এই বিস্ফোরক অভিযোগকে সমর্থন করলেন দেশের অন্যতম প্রবীণ রাজনীতিক এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। এইসঙ্গে আরও এক চাঞ্চল্যকর প্রসঙ্গ সামনে আনলেন তিনি। কী সেই প্রসঙ্গ?
বৃহস্পতিবার রাহুল জানান, ভোট চুরি হয়েছে কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলির ভোটে। পালটা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরা রাহুলকে অভিযোগের হলফনামা জমা দিতে বলেছিলেন। এরপর জাতীয় নির্বাচন কমিশনও রাহুলকে হুঁশিয়ার দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাহুলকে সমর্থন করে শনিবার পওয়ার বলেন, যাবতীয় অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। বিরোধীরা এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে উত্তর চায়। এইসঙ্গে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন মারাঠাভূমের পোড়খাওয়া নেতা। তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের মহারাষ্ট্র নির্বাচনে তাঁকে ১৬০ আসনে জয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ভোটের আগেভাগেই। কিন্তু তিনি এবং রাহুল গান্ধী বিষয়টিতে না জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
নাগপুরে সাংবাদিকদের পওয়ার বলেন, “রাহুল গান্ধীর দিল্লির সংবাদ সম্মেলনে আমি ছিলাম। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন এবং বিষয়গুলি গভীরভাবে অধ্যয়ন করেন। এর ফলেই কিছু জিনিস প্রকাশ্যে আসে। একটি বাড়িতে একজনই থাকতেন অথচ ৪০ জন ভোটার দেখানো হয়েছে! সম্ভবত এখন ওই অভিযোগের তদন্ত করছে কমিশন।” এরপরেই ১৬০ আসন পাইয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানান প্রবীণ নেতা। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রে ভোটের আগে দুজন আমার কাছে আসেন। তাঁরা আশ্বস্ত করে যে ২৮৮-র মধ্যে ১৬০ আসনে জিতিয়ে দেবে। যদিও আমি তাঁদের গুরুত্ব দিইনি। আমি তাঁদের দু’জনকেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দিই। যদিও আমার এবং রাহুল গান্ধীর সিদ্ধান্ত ছিল যে এর মধ্যে আমাদের জড়ানো উচিত হবে না।” বলা বাহুল্য, এনসিপি প্রধানের মন্ত্যব্যে অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরে। পওয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয় কি না সেটাও দেখার।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকে ভোট চুরির উদাহরণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মহাদেবপুরা বিধানসভায় এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি হয়েছে।’’ তিনি জানান, বেঙ্গালুরুর ওই লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস পেয়েছিল ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ভোট। হারজিতের ব্যবধান ছিল ৩২ হাজারের সামান্য বেশি। দাবি করা হয়েছে মহাদেবপুরা আসনে ১ লক্ষ ২৫০টি ভুয়ো ভোটার তৈরি করা হয়েছিল বিজেপিকে জেতাতে। এহেন চুরির অভিযোগ সামনে আসতেই স্বাভাবিকভাবে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চাপানউতর শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী শিবিরে। স্বভাবতই কমিশন রাহুলের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.