Advertisement
Advertisement
Shashi Tharoor

‘সমস্যাটা কোথায়?’, ফের কংগ্রেসের উলটো সুরে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের সরানোর বিলে সমর্থন থারুরের

স্বভাবসিদ্ধভাবেই কংগ্রেসের উলটো কথা বলছেন শশী।

Shashi Tharoor Differs With Congress Again On 'Bill To Remove PM, Chief Ministers'

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 20, 2025 2:54 pm
  • Updated:August 20, 2025 2:54 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের উলটো সুরে কথা বলাটা যেন রুটিন বানিয়ে ফেলেছেন শশী থারুর। যে কোনও ইস্যুতেই দলের সরকারি অবস্থানের উলটো কথা বলা তাঁর অভ্যাস। কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সংবিধান (১১৩ তম সংশোধনী) বিল নিয়েও একই অবস্থান তাঁর। থারুর বললেন, “কেউ যদি ৩৯ দিন জেলে থাকে, তাহলে তাঁর মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী পদ যাওয়াটাই স্বাভাবিক। সাধারণ বুদ্ধি তো তাই বলে।”

Advertisement

বুধবারই লোকসভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান (১৩০ তম সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস (সংশোধনী) বিল ২০২৫। ওই বিলগুলি মূলত সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে আনা। গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনও মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদের জন্য সাংবিধানিক রক্ষাকবচ না পান, সেটাই নিশ্চিত করা হয়েছে ওই বিলে। প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীপদে আসীন অবস্থায় কেউ যদি গুরুতর অপরাধে ৩০ দিনের বেশি জেলে থাকেন তাহলে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে।

কংগ্রেস-সহ গোটা বিরোধী শিবির বিলটির বিরোধিতা করেছে। ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য, এটা আসলে বিরোধীদের নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। আসলে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মদ কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরও পদত্যাগ করেননি। দীর্ঘদিন জেল থেকে সরকার চালান তিনি। তাতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি। বিরোধীদের অভিযোগ, এই ধরনের পরিস্থিতিতে সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে মোদি সরকার। ভোটে হারাতে না পেরে ঘুরপথে সরকার ফেলে দেওয়ার ফন্দি আটছে সরকার।

তবে শশী স্বভাবসিদ্ধভাবেই কংগ্রেসের উলটো কথা বলছেন। তাঁর বক্তব্য, “কেউ যদি ৩০ দিন জেলে থাকেন, তাহলে পদ খোয়াতে হবে সেটাই তো স্বাভাবিক। তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদের বক্তব্য, সরকার তো আর বিলটি আলোচনা ছাড়া পাশ করাচ্ছে না। বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হবে। আলোচনার পর সেটি নিয়ে সিদ্ধান্ত। তবে শশী বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই বিলের বিরোধী নন। বস্তুত কংগ্রেসের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই দূরত্ব বাড়াচ্ছেন শশী। আরও একবার তিনি নিজের অবস্থান বুঝিয়ে দিলেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ