Advertisement
Advertisement

Breaking News

Supreme Court

‘মেয়েটি এতে অপরাধ দেখেনি’, নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে অভিযুক্তকে মুক্তি সুপ্রিম কোর্টের

পকসো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েও মুক্তি! বেনজির সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের।

She didn't see it as crime: Supreme Court frees man convicted in POCSO Case

ফাইল ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 23, 2025 2:25 pm
  • Updated:May 23, 2025 2:25 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মেয়েটি এতে কোনও অপরাধ দেখেনি। সমাজ ওর চরিত্র নিয়ে কথা বলেছে। পরিবার ওর পাশে ছিল না। বিচারব্যবস্থা ওকে হারিয়ে দিয়েছে।’ পকসো মামলার রায়ে ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অভিযুক্ত যুবককে মুক্তি দিয়ে এই পর্যবেক্ষণ করল শীর্ষ আদালত।

Advertisement

সম্প্রতি এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ করে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় অভিযুক্ত যুবককে বেকসুর খালাস করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, “কিশোরীদের যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, কারণ দু’মিনিটের সুখের জন্য নিয়ন্ত্রণ হারালে সেই সমাজের চোখে সে-ই ‘ব্যর্থ’ প্রতিপন্ন হবে। একই সঙ্গে কিশোরদেরও উচিত কিশোরীদের চাহিদা, আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান করা।” হাই কোর্টের সেই রায় নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে।

এই মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার আগে মনোবিদদের সাহায্য নেন বিচারপতিরা। একাধিক সামাজিক সংগঠনেরও সাহায্য নেওয়া হয়। তারপরই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ওই মামলায় অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলেও তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে কিনা সেটাই বিচার্য। ‘অপরাধে’র সময় অভিযুক্তের বয়স ছিল ২৪। মেয়েটির বয়স ছিল ১৫। পরে নির্যাতিতা প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাঁকে বিয়ে করে অভিযুক্ত। এখনও তাঁরা সুখী বিবাহিত জীবনযাপন করছে। কিন্তু অভিযুক্তকে বিয়ে করায় পরিবার মেয়েটিকে ত্যাগ করে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মেয়েটি কখনওই ওই হেনস্তাকে ঘৃণ্য অপরাধ হিসাবে দেখেনি। বরং, সে বরাবর নিজের স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওর পরিবার, সমাজ এই বিচারব্যবস্থা কেউ, পাশে থাকেনি।

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘এটা সবার জন্য চোখ খুলে দেওয়ার মামলা। এটা আমাদের বিচারব্যবস্থার ফাঁকফোকর প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে।’ স্বামীকে বাঁচানোর জন্য ওই নির্যাতিতাকে পুলিশের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে। গোটা বিচারব্যস্থার বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে। মেয়েটি যেহেতু স্বামীকে বাঁচাতে চেয়েছিল, তাই আদালত ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করলে শাস্তি থেকে মুক্তি দিল। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement