সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নিরাপত্তার স্বার্থে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে নতুন সংসদ ভবনের গজ দ্বারের সামনে থাকা বিশাল এক গাছ। শুক্রবারই পাঁচিলের পাশে থাকা গাছ বেয়ে দেওয়াল টপকে সংসদে ঢুকে যায় এক ব্যক্তি। যার জেরে ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সাধের নয়া সংসদ ভবনের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে। এই আবহেই চর্চায় সংসদের ভিতরের গাছ অন্যত্র রোপণ করার সিদ্ধান্ত। যদিও জানা গিয়েছে যে, শুক্রবারের ঘটনার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এই গাছটি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে আগেই।
নয়া সংসদ ভবনে যে ছ’টি ফটক রয়েছে, তার মধ্যে সংসদে আসার সময় সাধারণত গজ দ্বারই ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ফটকের সামনেই রয়েছে বিশাল এক সিলভার ট্রাম্পেট গাছ। যে গাছটি আবার সংসদের ভিতরে থাকা গাছদের ক্রমতালিকায় রয়েছে এক নম্বরে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) এই গাছ নিয়ে সম্প্রতি আপত্তি তোলে। তাদের বক্তব্য, বিশাল এই গাছটির ফলে প্রধানমন্ত্রী-সহ অন্যান্য ভিভিআইপিদের যাতায়াতের পথের নিরাপত্তা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
এই আপত্তির কথা জানতে পেরেই গাছটিকে অন্য কোথাও প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় পূর্ত দপ্তর (সিপিডব্লুডি)। তারা যোগাযোগ করে দিল্লি বন দপ্তরের সঙ্গে। ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন দেশনায়কের মূর্তি যে প্রেরণা স্থলে একত্রিত করে রাখা রয়েছে, সেখানেই প্রতিস্থাপন করা হবে গাছটিকে। ইতিমধ্যেই বন দপ্তরের আধিকারিকরা এসে জায়গা খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। সবুজ সংকেত পেয়ে বন দপ্তরের কাছে ফেরতযোগ্য ৫৭ হাজার টাকা জমাও করে দিয়েছে সিপিডব্লুডি। বাকি শুধু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে আধুনিক সরঞ্জামের সাহায্যে প্রতিস্থাপন।
শুধু এই গাছটি প্রতিস্থাপন করেই অবশ্য মিটবে না সমস্যা। সাত বছর বয়সি এই গাছের সঙ্গে বট, অশ্বত্থ, অর্জুন, নিমের মতো বড় দশটি গাছ পুঁততে হবে সিপিডব্লুডিকে। যে সিলভার ট্রাম্পেট গাছ নিয়ে এত সমস্যা, সেই গাছটির বিশেষত্ব হল এই গাছটি বড় হয়ে উঠতে খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। সামান্য জল ও চড়া রোদে সহজেই বেড়ে ওঠে এই গাছ। যার ফলে পার্ক, পথের ধারের মতো সাধারণ জায়গাতেও দেখতে পাওয়া যায় উজ্জ্বল হলুদ রংয়ের ফুলের এই বিশাল গাছ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.