Advertisement
Advertisement
Ahmedabad Plane Crash

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা কেড়েছে ভাইয়ের প্রাণ, ২৪ ঘণ্টা পরই শোকে মৃত্যু দিদির

ছোটবেলা থেকেই গভীর ছিল দুই ভাইবোনের সম্পর্ক।

Sister died after hearing brother's death in Ahmedabad Plane Crash

ফাইল ছবি

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:June 17, 2025 12:54 pm
  • Updated:June 17, 2025 1:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হারিয়েছিলেন প্রিয় ভাইকে। এতবড় মানসিক ধাক্কা সামলাতে পারেননি। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দিদির। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে আহমেদাবাদের পারমার পরিবারে। একসঙ্গে পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে শোকে পাথর সকলেই।

জানা গিয়েছে, আহমেদাবাদের ওই বিমানে চেপে প্রথমবার বিদেশ সফরে যাচ্ছিলেন ভোগীলাল পারমার এবং তাঁর স্ত্রী হংস। তাঁদের ছেলে এবং পুত্রবধূ ইংল্যান্ডে থাকেন। চলতি সপ্তাহেই তাঁদের কোলে আসবে প্রথম সন্তান। ফুটফুটে নাতিনাতনির মুখ দেখতেই লন্ডনে যাচ্ছিলেন পারমার দম্পতি। কিন্তু আহমেদাবাদেই মর্মান্তিক পরিণতি হল তাঁদের। এখনও পর্যন্ত ভোগীলালের দেহ শনাক্ত করা যায়নি বলেই খবর।

গত বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন ভোগীলালের দিদি গোমতী। ৬৫ বছরের বৃদ্ধা যখন জানতে পারেন আহমেদাবাদের দুর্ঘটনায় একজন ছাড়া আর কেউই বেঁচে নেই, তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় গোমতীর। তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শুক্রবার। গোমতীর পুত্র সাগর জানান, “ছোটবেলা থেকেই মায়ের সঙ্গে মামার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। বিমান দুর্ঘটনার খবরটা মা একেবারে নিতে পারেননি।”

বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ভোগীলাল এবং হংসের শেষকৃত্য এখনও সম্পন্ন হয়নি। কিন্তু তাঁদের পরে প্রাণ হারানো গোমতীর শেষকৃত্য হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না সাগর। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবারে একটা ছোট্ট সন্তান আসছে। সেই নিয়ে আমরা খুব আনন্দে ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা একে অপরকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছি।” জানা গিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় মৃত হংসের দেহ শনাক্ত করা গেলেও ভোগীলালের দেহ এখনও মেলেনি। আপাতত ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন ভোগীলালের কন্যা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement