Advertisement
Advertisement
সিল দিল্লির ১৩ এলাকা

করোনার ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত, দিল্লিতে নতুন করে সিল করা হল ১৩ এলাকা

নয়ডা ও গাজিয়াবাদের এলাকায় বন্দি হয়ে পড়ছেন ১৫০০০ বাসিন্দা।

Some parts of Delhi have been sealed from Wednesday midnight
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 9, 2020 12:22 pm
  • Updated:April 9, 2020 12:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের ‘হটস্পট’ এখন দিল্লি। তাই উত্তরপ্রদেশের পর সংক্রমণ রুখতে নতুন করে দিল্লি কয়েকটি জায়গা সিল করল প্রশাসন। এই ১৩টি এলাকাই গাজিয়াবাদের। ওই এলাকাগুলিকে ‘সংক্রামক এলাকা’ বলে চিহ্নিত করে বুধবার মাঝরাত থেকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নয়ডারও ২২টি এলাকা রয়েছে এর আওতায়।

Advertisement

NCR এলাকার মূলত বাঙালি অধ্যুষিত এলাকার দিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন। কনট প্লেসের বিখ্যাত বাঙালি বাজারটিও সিল করে দেযওা হয়েছে। এছাড়া মালব্যনগর, সঙ্গমবিহার, দ্বারকা, জাহাঙ্গিরপুরী, দিলশাদ গার্ডেন, ময়ূর বিহার, প্রীত বিহারের অনেকাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চারটি হাউজিং সোসাইটি সম্পূর্ণ বন্ধ। অন্তত ১৫ হাজার মানুষ একেবারে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, গোটা দেশে লকডাউনের মেয়াদ ১৪ এপ্রিল মাঝরাত পর্যন্ত হলেও, এসব এলাকা সিল করা থাকবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

[আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজনে টাকা ছাপিয়ে গরিবদের দিন’, অর্থনীতি বাঁচাতে দাওয়াই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের]

দিল্লির করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেই ‘5T প্ল্যান’ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। শুরু হচ্ছে ব়্যাপিড টেস্টিং। আজ দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, টেস্ট কিট হাতে আসার অপেক্ষা করছেন তাঁরা। তা এলেই দিল্লির সংক্রামক এলাকাগুলিতে সবার আগে পরীক্ষা করা হবে। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও তথ্য জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে দিল্লিতে করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৬৬৯, যার মধ্যে ৪২৬ জনই নিজামুদ্দিন ফেরত। এদিকে, পূর্ব দিল্লিতে যে পরিবারগুলিকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে, তাদের উপর নজরদারির জন্য একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। টিমের সদস্যরা পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্টস (PPE) নিয়ে সেসব এলাকায় সাফাইকাজও করেন।

মুম্বইয়ের মতো দিল্লির এই সমস্ত সংক্রামক এলাকাতেও বাড়ির বাইরে বেরলে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বুধবার সেই মর্মে ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর কড়া বার্তা, প্রয়োজনে বাড়িতে মাস্ক তৈরি করতে তা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু মাস্ক ছাড়া কোনওভাবেই বেরনো যাবে না। নিয়ম মেনে চললে, তবেই করোনার কবল থেকে দ্রুত দেশের রাজধানীকে বের করে আনা সম্ভব বলে তিনি আশাবাদী। 

[আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র শিল্পে বড়সড় আর্থিক প্যাকেজের ভাবনা কেন্দ্রের! বহু পণ্যে বসতে পারে অতিরিক্ত সেস]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement