Advertisement
Advertisement

দু-একটা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে এত বাড়াবাড়ির মানে হয় না, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

ফের মুখ পুড়ল বিজেপির।

Sometimes Rapes Can't Be Stopped, Why Make A "Big Deal": Union Minister
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 22, 2018 3:35 pm
  • Updated:November 1, 2018 2:48 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “এত বড় দেশে ধর্ষণের ঘটনা থামানো সম্ভব নয়। তবে দু-একটা ঘটনা নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার কোনও মানেই হয় না।” কাঠুয়া-উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে যখন প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ, ঠিক তখনই এমন বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Advertisement

[অর্ডিন্যান্সে সই রাষ্ট্রপতির, নাবালিকা ধর্ষণে এখন চূড়ান্ত সাজা মৃত্যুদণ্ড]

কাঠুয়ায় গণধর্ষণ কাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। আসিফার সুবিচার চেয়ে প্রতিবাদে পথে নেমেছে আট থেকে আশি। এমন নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে প্রতিটি মহল। যার জেরে শেষমেশ নাবালিকা ধর্ষণের শাস্তির নিয়মেও এসেছে বদল। এবার থেকে ১২ বছরের কম বয়সি শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চূড়ান্ত সাজা মৃত্যুদণ্ড। রবিবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সে সই করেন। এদিন থেকেই দেশে বহাল হল এই নিয়ম। আর এমন পরিস্থিতিতে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার। তাঁর বক্তব্য, “এত বড় দেশে ধর্ষণের দু-একটা ঘটনা সামনে আসে। তাই নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। হ্যাঁ, এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু অনেক সময়ই এমন ঘটনা আটকানো সম্ভব হয় না। তবে এ বিষয়ে সরকার সবসময়ই সতর্ক।” মন্ত্রীর এমন মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কীভাবে দেশের এক প্রতিনিধি এই মন্তব্য করেন?

[কাঠুয়ায় ধর্ষণ হয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়ো দাবি উড়িয়ে বিবৃতি পুলিশের]

কাঠুয়ায় আট বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা। এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। শুধু তাই নয়, উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডেও বিজেপি নেতা এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি তুলে শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ৬০০টি অ্যাকাডেমি থেকে চিঠি এসে পৌঁছেছে। একদিকে কাঠুয়া অন্যদিকে উন্নাও। দেশের দুই প্রান্তে দুই ধর্ষণের ঘটনায় রীতিমতো সাঁড়াশি চাপে পড়েছিল কেন্দ্র। যত দিন যাচ্ছিল তত প্রশাসনের উপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতেই নয়া অর্ডিন্যান্স আনার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কিন্তু তারপরই অর্থমন্ত্রকের জুনিয়র মন্ত্রীর এমন মন্তব্য ফের মুখ পুড়ল বিজেপিরই। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ