Advertisement
Advertisement
Meghalaya

‘মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা আমারই’, পুলিশ জেরায় কবুল সোনমের!

প্রেমিকের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন সোনম।

Sonam admits to plotting honeymoon murder at Meghalaya
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:June 11, 2025 7:07 pm
  • Updated:June 11, 2025 7:28 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনিই, শেষ পর্যন্ত তদন্তকারী বিশেষ দলের জেরার মুখে স্বীকার করলেন মূল অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী! পুলিশ সূত্রে খবর, ধরার পড়ার পর খুনের কথা অস্বীকার করলেও হত্যাকাণ্ডের একাধিক প্রমাণ সামনে আনতেই এবং প্রেমিকের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তরুণী।

Advertisement

সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহ আগেই অপরাধের কথা স্বীকার করেছিলেন। এদিন সকাল থেকে সোনম ও রাজকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে পুলিশ। এছাড়াও ৪২টি সিসিটিভি ফুটেজ, রক্তমাখা জ্যাকেট, সোনমের রেনকোট এবং অন্যান্য প্রমাণ তুলে ধরা হয় তাঁদের চোখের সামনে। এই চাপের মুখে ভেঙে পড়েন সোনম। স্বীকার করেন যে রাজ ও তিন ভাড়াটে খুনির সঙ্গে তিনিও এই খুনের চক্রান্তে ছিলেন।

গত ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি রাজা ও সোনম রঘুবংশী। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছনোর পর নিখোঁজ হন দম্পতি। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে মেঘালয় পুলিশ। ২৪ বছরের সোনাম এবং তাঁর স্বামীকে খুঁজে বের করতে ২০ জন আধিকারিক একযোগে কাজে নামেন। গত ৩ জুন পুলিশ নিশ্চিত হয় যে এই হত্যাকাণ্ডে সোনমই জড়িত। ঠিক তার আগের দিন খাসি হিলসের জলপ্রপাতের খাদ থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাজার পচাগলা দেহ। তাঁর মাথায় ছিল আঘাতের চিহ্ন।

তদন্ত নেমে রাজ, আকাশ রাজপুত এবং বিশাল সিং চৌহানের খোঁজ পায় পুলিশ। দেখা যায় দম্পতি যেদিন গুয়াহাটি পৌঁছান, তার পরদিন অর্থাৎ ২১ মে এই তিনজন পরিকল্পনা মতো উত্তরপূর্বের শহরে পৌঁছে যান। হত্যাকাণ্ডের আগেও তিন যুবকের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল সোনমের। গুয়াহাটি থেকে শিলংয়ে অস্ত্র আনে আভিযুক্তরা। এরপর ২৩ মে হত্যাকাণ্ড চালায়। কিন্তু পুলিশ কেন সন্দেহ করল সোনমকে?

সমাজমাধ্যমে সক্রিয় দম্পতি মেঘালয় বেড়ানোর কোনও ছবি পোস্ট না করায় সন্দেহ হয় পুলিশের। অথচ খুনের পর রাজার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়–‘সাত জন্মের সঙ্গী’। এতেই সন্দেহ বাড়ে। এরপর হোমস্টের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ফোন ট্র্যাক করে রহস্যের অনেকাংশ উন্মোচন করা সম্ভব হয়। যদিও হদিশ মিলছিল না সোনমের। তবে পুলিশি তৎপরতায়, ক্রমাগত চাপে কাজ হয়। গত সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে আত্মসমর্পণ করেন সোনম। জিজ্ঞাসাবাদে বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় গ্রেপ্তার করা হয় তরুণীকে। এবার স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করলেন তিনি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ