Advertisement
Advertisement
আজম খান

ঘোর বিপাকে আজম খান, সপরিবারে জেলে যেতে হল সমাজবাদী পার্টি সাংসদকে

একাধিক মামলায় জর্জরিত সমাজবাদী পার্টির প্রভাবশালী সংখ্যালঘু নেতা।

SP leader Azam Khan sent to jail with wife and son
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 26, 2020 3:10 pm
  • Updated:February 26, 2020 3:10 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপত্তি কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সমাজবাদী পার্টি সাংসদ আজম খানের (Azam Khan)। এবার তাঁকে সপরিবারে যেতে হল জেলে। বারবার সমন করা সত্ত্বেও হাজিরা এড়ানোর অপরাধে আজম খান, তাঁর স্ত্রী তথা বিধায়ক তানজিন ফতিমা এবং ছেলে আবদুল্লাহ আজমকে জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামপুরের একটি আদালত। আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই থাকতে হবে সপা সাংসদকে।

Advertisement

Azam Khan
আজম খানের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই একাধিক মামলা চলছে। বারবার সমন করা সত্ত্বেও কয়েকটি মামলায় আদালতে হাজিরা দেননি উত্তরপ্রদেশের রামপুরের সাংসদ। এর মধ্যে একটি মামলা ছিল আজমের ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, আজম খানের ছেলে আবদুল্লাহ আজমের দুটো জন্মের প্রমাণপত্র রয়েছে। আর জোড়া প্রমাণপত্র ব্যবহার করে তিনি একাধিক দুর্নীতি করেছেন। এই মামলায় গোটা পরিবারকে তলব করে রামপুরের একটি সাংসদ-বিধায়ক আদালত। কিন্তু, বারবার তলব করা সত্ত্বেও তাঁরা আদালতে হাজিরা দেননি। এর মধ্যে একাধিকবার আগাম জামিনেরও চেষ্টা করেছেন আজম। কিন্তু, সবকটি আবেদনই খারিজ করে দেয় আদালত। হাজিরা না দিলে আজমদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তো করার নির্দেশ দেয় ওই আদালতটি। 

[আরও পড়ুন: ‘ভুল কিছু করিনি’, হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ কপিল মিশ্র]

চাপে পড়ে মঙ্গলবার সপরিবারে আত্মসমর্পণ করেন সমাজবাদী পার্টি (amajwadi Party) নেতা। আজ আদালত আজম খান, তাঁর স্ত্রী তথা বিধায়ক তানজিন ফতিমা (Tanzeen Fatima) এবং ছেলে আবদুল্লাহ আজমকে ৭ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। আপাতত তাঁদের জেলেই থাকতে হবে। আর তাতেই চিন্তায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তাঁদের ধারণা, আজমের মতো প্রভাবশালী নেতাকে তাঁর নিজের এলাকা রামপুরে রাখলে চূড়ান্ত অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে, আজম খানকে অন্য কোনও এলাকার জেলে রাখারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আজম খান এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। মহিলাদের নিয়ে তাঁর একাধিক মন্তব্য শিরোনামে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা ছড়ানোরও অভিযোগ আছে। এসব সত্ত্বেও রামপুর এলাকায় তাঁর প্রভাব সন্দেহাতীত।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ