Advertisement
Advertisement

Breaking News

Supreme Court

ভোটের আগে বিহারে নিবিড় সংশোধন কেন? কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

নিবিড় সংশোধনে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত।

Special Intensive Revision not the problem, timing is, Supreme Court on Bihar voter roll revision

ফাইল ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 10, 2025 1:51 pm
  • Updated:July 10, 2025 4:13 pm  

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন নির্বাচন কমিশনের অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাতে কোনও আইনি বাধা নেই। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের করা মামলায় স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে একই সঙ্গে এই প্রক্রিয়া শুরুর ‘সময়’ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল শীর্ষ আদালত।

Advertisement

ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন নিয়ে যে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার সেগুলি একত্র করে শুনানি শুরু হয়েছে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে। এদিন শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ দাবি করেন, ১৯৫০ সালের আইন এবং ভোটার অন্তর্ভুক্ত আইনের অধীনে ভোটার তালিকায় দু’টি ধরনের সংশোধনের কথা বলা রয়েছে। এক, নিবিড় সমীক্ষা। দুই, সংক্ষিপ্ত সমীক্ষা। কিন্তু কমিশন যে স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা নিবিড় সংশোধন সেটা বস্তুত একেবারে শুরু থেকে ভোটার তালিকা তৈরির মতো বিষয়। এর কোনও উল্লেখ আইনে নেই। এটা ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার হচ্ছে।

মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ২০০৩ সালের আগের ভোটার নথি নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখিত সালের পর দেশে পাঁচটি লোকসভা ভোট হয়েছে। তাহলে কি কমিশন ওই নির্বাচনগুলিতে যারা ভোট দিয়েছেন তাঁদের ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে? এই সওয়াল শুনে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করেন, “আপনি কি নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন?” তাতে মামলাকারীর আইনজীবী বলছেন, “আমরা কমিশনের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করছি না। এই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করছি। এই প্রক্রিয়ার কথা নিয়মে বলা নেই। কমিশন কাজটা করছে নিজেদের ইচ্ছামতো।”

মামলাকারীদের সওয়ালের পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, “জনপ্রতিনিধি আইনের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তো মনে করলে কমিশন বিশেষ রিভিশন করতে পারে।” এরপর মামলাকারীদের উদ্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, “নির্বাচন কমিশন যেটা করছে সেটা সংবিধান মেনেই। এর অনেক বাস্তব ভিত্তি আছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ারও যুক্তি আছে। কিন্তু কোন সময়ে এটা করা হচ্ছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।” এরপরই কমিশনের উদ্দেশে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, “ঠিক নির্বাচনের আগে আগেই নিবিড় সংশোধনী কেন? এটা ভোট নিরপেক্ষ হতে পারে না কেন?” একই সঙ্গে আধার কার্ড-সহ মোট তিনটি নথিকে প্রয়োজনীয় নথির তালিকায় যোগ করা যায় কিনা, সেটা ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।  

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement