Advertisement
Advertisement
Uttar Pradesh

‘শাস্তি’র প্রতিশোধ! উত্তরপ্রদেশের মসজিদে মৌলবির স্ত্রী-শিশুকন্যাদের খুনে গ্রেপ্তার ২ নাবালক

পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।

Students kill Maulvi’s wife & daughters arrest at Uttar Pradesh

প্রতীকী ছবি

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:October 12, 2025 2:48 pm
  • Updated:October 12, 2025 4:01 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মসজিদে মৌলবির দুই শিশুকন্যা ও স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার মসজিদেরই দুই নাবালক ছাত্র। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।

Advertisement

কিন্তু কী কারণে খুন? পুলিশ জানিয়েছে, দুই নাবালক ঠিকমতো পড়াশোনা না করায় মৌলবি মারধর ও বকাবকি করেন। আক্রোশে তাঁর অনুউপস্থিতিতে মসজিদেরই একটি ঘরে থাকা মৌলবির কন্যা ও স্ত্রীকে খুন করে ১৪ ও ১৫ বছরের দুই নাবালক।

কী করে খুন? মসজিদের দ্বিতীয় তলার ঘরে ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। তিনজনই জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলা কাটে দুই নাবালক। দুই শিশুকন্যার দেহ বিছানায় পড়েছিল। মেঝেয় পড়েছিল মহিলার দেহ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পর বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। সেই দলে ছিল অভিযুক্ত দুই নাবালকরাও।

কিন্তু পুলিশ প্রথমে আটক করেছিল মৌলবিকে। দু’জনের হদিশ পেল কী করে? আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মসজিদের সিসিটিভি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেখানেই দুই নাবালককে মৌলবির ঘরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। তা থেকে সন্দেহ দৃঢ় হয়। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অপরাধের কথা স্বীকার করে তারা। এসপি সুরজ রাই বলেন, “তদন্তভার নেওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা করেছে পুলিশ। ধৃত দুই নাবালকই মসজিদে পড়াশোনা করত। মৌলবি বারবার মারধর করায় তারা এই অপরাধ করেছে। দু’জন অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তদন্ত চলছে।”

উল্লেখ্য, শনিবার উত্তরপ্রদেশের বাগপত এলাকায় গাঙ্গলোনি গ্রামের মসজিদে মৌলবির স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। মুজফফরনগরের সুন্না গ্রামের বাসিন্দা ওই মৌলবি ইব্রাহিম গাঙ্গলোনি গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়াতেন। সেখানেই মসজিদে থাকতেন তাঁর স্ত্রী ইসরানা, দুই কন্যা সোফিয়া ও সুমইয়্যা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫ এবং ২ বছর। স্থানীয়দের তরফে জানা গিয়েছে, শনিবার ১১টা নাগাদ মসজিদে নামাজ পড়তে এসেছিলেন স্থানীয়রা। নিচ থেকে একাধিকবার মৌলবিকে ডাকা হলেও তিনি আসেননি। এই অবস্থায় খোঁজ নিতে উপরে যান কয়েকজন। সেখানেই মৌলবির স্ত্রী ও দুই কন্যার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মিরাটের ডিআইজি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ