Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nimisha Priya

ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড রুখতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা, আদৌ কি বাঁচবে প্রাণ?

স্বামীকে হত্যার অপরাধে ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা।

Supreme Court Agrees To Hear Plea Seeking Halt On Execution Of Kerala Nurse Nimisha Priya In Yemen
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:July 10, 2025 1:03 pm
  • Updated:July 10, 2025 2:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১৬ জুলাই ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। সম্প্রতি সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড রুখতে এবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল মামলা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে পিটিশন দাখিল করেছে ‘সেভ নিমিশা প্রিয়া অ্যাকশন কাউন্সিল’ নামে এক সংগঠন। তাদের দাবি, নিমিশার মৃত্যুদণ্ড রুখতে কূটনৈতিক পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১৪ জুলাই মামলাটি শুনবেন বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে ১৬ জুলাই নিমিশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। সুতরাং হাতে থাকবে মোট দু’দিন। এই পরিস্থিতিতে নিমিশার প্রাণ আদৌ বাঁচবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।  

Advertisement

স্বামীকে হত্যার অপরাধে ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা। ২০১৮ সালে এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় ইয়েমেনের আদালত। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে এত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছে নিমিশার পরিবার। প্রবাসী ভারতীয় ওই যুবতীর প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছলে তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রশিদ মহম্মদ আল আলিমি। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ করতে তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারত সরকারের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।

কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সাল থেকে ইয়েমেনের এক হাসপাতালে কাজ করতেন। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী ও কন্যা ভারতে ফিরে এলেও নিমিশা সেখানে থেকে যান। উদ্দেশ্য ছিল ইয়েমেনে ক্লিলিক খোলা। সেখানে তালাল আবদো মেহদি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। দুজন মিলে সেখানে এক ক্লিনিক খোলেন। পরে এই ক্লিনিকের অংশীদারিত্ব নিয়ে অসান্তি বাধে দুজনের মধ্যে। নিমিশার পাসাপোর্ট কেড়ে নেয় সে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে কোনও ফল না হওয়ায়। অন্য পথে হাঁটেন তিনি।

এর পর ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই ওই ব্যক্তিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন নিমিশা প্রিয়া। উদ্দেশ্য ছিল, অভিযুক্ত ঘুমিয়ে পড়লে পাসপোর্ট উদ্ধার করবেন। তবে ওষুধের ওভারডোজের কারণে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এই অবস্থায় অন্য একজনের সাহায্য নিয়ে মেহদির দেহ টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন নিমিশা। এবং ইয়েমেন থেকে পালানোর সময় ধরা পড়ে যান। বিচারপর্বে ২০১৮ সালে ইয়েমেনের আদালত নিমিশাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তাঁর প্রাণরক্ষায় সবরকম চেষ্টা করেন নিমিশার মা প্রেমা কুমারী। ভারত সরকারও তাঁর পাশে দাঁড়ায়। এমনকি সাজার বিরুদ্ধে বিগত কয়েক বছর ঘরে অনেকগুলি আন্তর্জাতিক সংগঠন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement