ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওবিসি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুরুতেই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। কীভাবে একটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল? সেই প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করা হয়। শীর্ষ আদালতের এই পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের পক্ষে বড়সড় জয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি শংসাপত্র নিয়ে জট দীর্ঘদিনের। এর যৌক্তিকতা, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। আর বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় এই শংসাপত্রের সুবিধা যাঁদের পাওয়ার কথা, সেই সমস্ত কাজই থমকে রয়েছে। তবে কলেজে ভর্তি কিংবা চাকরিতে নিয়োগের জন্য ওবিসি শংসাপত্রকে অনুমোদন দিয়ে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। কিন্তু মাসখানেক আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ ওই বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল।
হাই কোর্টের ওই স্থগিতাদেশের ফলে কলেজে পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। তাতে হাই কোর্টের ভূমিকা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। প্রশাসনিক কোনও একটি সিদ্ধান্তে কীভাবে হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ দিল? এরপরই প্রধান বিচারপতি হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে মামলা ফেরত পাঠিয়ে দেন। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেন, নতুন করে বেঞ্চ গঠন করে আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.