Advertisement
Advertisement
Supreme Court

সন্তান দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া জটিল ও হতাশাজনক! বদলের পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনও দম্পতির সন্তান না থাকা আজও সামাজিকভাবে কলঙ্কের মতো।

Supreme Court order to simplify the frustrating Adoption law

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 15, 2025 6:12 pm
  • Updated:August 15, 2025 6:12 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে শিশু দত্তক নেওয়ার জন্য বর্তমানে যে আইন রয়েছে তাকে সহজ করার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই আইন অতিরিক্ত জটিল এবং দত্তক নিতে চাওয়া অভিভাবকদের জন্য হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার আদালত জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া আরও সহজ করা প্রয়োজন, যাতে নিঃসন্তান দম্পতিরা বেআইনি ভাবে দত্তক নেওয়ার চেষ্টা না করেন। সহজ পদ্ধতি, বৈধ উপায়ে আরও মানুষকে সন্তান দত্তক নিতে উৎসাহ দেবে বলে আদালতের মত।

Advertisement

বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ দেশে শিশু পাচারের সমস্যা নিয়ে শুনানির সময় এই কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, দত্তক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে অনেকটা সময় লাগে বলে মানুষ বেআইনি পথে সন্তান দত্তক নেওয়ার চেষ্টা করে। আদালত জানায় কোনও দম্পতির সন্তান না থাকা আজও সামাজিকভাবে কলঙ্কের মতো। কিন্তু এঁরাই যখন দত্তক নেওয়ার চেষ্টা করেন তখন জটিল প্রক্রিয়ার কারণে সমস্যায় পড়েন।

২০২৫-২৬ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দত্তক নেওয়ার সংখ্যা ৪,৫০০ ছাড়িয়েছে, যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ভারতে একজন শিশুকে দত্তক নেওয়ার জন্য অভিভাবকদের গড়ে সাড়ে তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়। তবে দত্তক নেওয়ার জন্য আগ্রহী অনেক অভিভাবকের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া এখনও চ্যালেঞ্জের। নবজাতক ও কমবয়সি শিশুদের দত্তকের জন্য গড়ে সাড়ে তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়। সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটির (কারা) ড্যাশবোর্ড অনুযায়ী, বর্তমানে দত্তক নেওয়ার জন্য বিভিন্ন শ্রেণিতে নিবন্ধিত সম্ভাব্য অভিভাবকের সংখ্যা ৩৬,৬১৬-র বেশি, অথচ দত্তকের জন্য উপলব্ধ শিশু মাত্র ২,৭৫৬ জন।

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, বর্তমানে শিশু দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। অভিভাবকরা সন্তান চান, কিন্তু এই জটিল প্রক্রিয়া তাঁদের জন্য হতাশাজনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত অন্য এক মামলাতেও এই দেরি হওয়ার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। এই মামলায়, তেলেঙ্গানার চার অভিভাবক আইন না মেনে সন্তান দত্তক নিয়েছিলেন। আবেদনকারীরা জানতে পারেন ওই শিশুদের আসল বাবা-মা তাদের রাখতে চান না। এরপরে আবেদনকারীরা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই ওই শিশুদের দায়িত্ব নেন। পরে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে শিশুদের নিজেদের হেফাজতে নেয় এবং পরে শিশু কল্যাণ প্রকল্পের ডিরেক্টর এবং ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড প্রোটেকশন সার্ভিসেসের কাছে হস্তান্তর করে।

পরবর্তীতে আদালত সংবিধানের ১৪২ ধারায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে। যেসব শিশুদের বয়স কয়েক মাস থেকে তিন বছরের মধ্যে, তাদেরকে ফের দত্তক নেওয়া অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ