ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতিদের বিল পাশের সময়সীমা নিয়ে প্রশাসন ও বিচারবিভাগের মধ্যে মতানৈক্য বেড়েই চলেছে। বুধবার ফের এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যপালদের কাছে তিন-চার বছর ধরে বিল আটকে থাকছে। তার পরও কেন্দ্র কীভাবে বলা হচ্ছে যে রাজ্য সরকারের আশঙ্কা অমূলক?
মাস কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, আইনসভায় পাশ করা কোনও বিল রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি কেউই অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারেন না। ওই বিল নিয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁদের। কেন্দ্রের দাবি, এভাবে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে এভাবে ‘নির্দেশ’ দিতে পারে না। পালটা শীর্ষ আদালতের যুক্তি, সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট ‘সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে বিশেষ রায় দিতেই পারে। এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক শিবিরের বহু নেতা বিচারবিভাগকে তোপ দেগেছেন। পালটা শীর্ষ আদালতও একাধিক প্রশ্নে কেন্দ্রকে বিদ্ধ করছে।
সেই মামলার শুনানিতেই বুধবার কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, গত ৫৫ বছরে মাত্র ২০টি বিলে সম্মতি স্থগিত রাখা হয়েছে। ৯০ শতাংশ বিলেই এক মাসের মধ্যে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। তাই বিল পাশ নিয়ে যে আশঙ্কা রাজ্য সরকারগুলি করছে সেগুলি মিথ্যা আশঙ্কা। এই ধরনের আশঙ্কা নিয়ে নতুন করে কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের যুক্তির প্রেক্ষিতে মৌখিকভাবে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “কিছু বিল ৩-৪ বছর ধরে আটকে রয়েছে। তারপরও কীভাবে বলা হচ্ছে, এই আশঙ্কা অমূলক।”
কেন্দ্রের অবশ্য সাফ বক্তব্য, রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির দপ্তর রাজনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পন্ন। গণতান্ত্রিক প্রশাসনের থেকেও উৎকৃষ্ট আদর্শে বিশ্বাসী। তাই রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের দপ্তরে যদি কোনও ত্রুটি থেকেও থাকে তাহলে সেটা ঠিক করতে হবে রাজনৈতিক ভাবে। অকারণ বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.