দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের আস্থাভোট ইস্যুতে ফের খানিকটা স্বস্তি পেল ফড়ণবিস সরকার। আস্থা ভোট ইস্যুতে রায়দান আরও একবার পিছিয়ে দিল সর্বোচ্চ আদালত। এর আগে তীব্র সওয়াল-জবাব চলেছে শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরের মধ্যে। সওয়াল জবাব চলাকালীন বিজেপির আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, অজিত পওয়ার এনসিপির ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠি রাজ্যপালকে দিয়েছেন। আবার এনসিপির আইনজীবীর দাবি, পওয়ার যে চিঠি দিয়েছেন তাতে শুধু সই রয়েছে। বিধায়করা যে বিজেপিকে সমর্থন করছে তা কোথাও লেখা নেই। এই তীব্র বাদানুবাদের পর শেষ পর্যন্ত রায়দান আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানায় আদালত। রায়দান হবে আগামিকাল সকাল সাড়ে দশটায়। সেক্ষেত্রে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আরও একদিন সময় পেয়ে গেল বিজেপি।
এদিন, সওয়াল জবাবের শুরুতেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে বিরোধীরা যে প্রশ্ন তুলছে তাঁর কোনও যুক্তি নেই। কারণ, রাজ্যপালের কাছে এনসিপির ৫৪ জন-সহ মোট ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠি জমা দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। সেই চিঠিও সুপ্রিম কোর্টে জমা দেন বিজেপির পক্ষের আইনজীবী। তাদের দাবি, রাজ্যপালের অধিকার আছে কতদিন পরে আস্থাভোট হবে তা ঠিক করার। সুপ্রিম কোর্টের এই মুহূর্তে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেওয়া উচিত নয়।
এরপরই বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, “পওয়ার বলছেন তাঁর কাছে ৫৪ বিধায়কের সমর্থন আছে। অথচ, তাঁকে এনসিপির বিধায়ক দলের নেতার পদ থেকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওদের কাছে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতাই থেকে থাকে তাহলে আস্থাভোটে এত আপত্তি কীসের?” এনসিপির তরফে অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “বিধায়কদের সই থাকতেই পারে। কিন্তু, তাঁরা কী বিজেপিকে সমর্থনের কথা বলেছেন? হয়তো কোনও চিঠি ছাড়াই শুধু সই নেওয়া হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের হত্যা।” দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পর রায়দান আগামিকাল পর্যন্ত স্থগিত করে দেয় আদালত।
NCP-Congress-Shiv Sena petition: Supreme Court reserves order for tomorrow 10.30 am.
— ANI (@ANI)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.