সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এলাকাগুলি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মতে, অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে এই অঞ্চলগুলি। একই সঙ্গে হিমাচল প্রদেশ সরকারের কাছে একগুচ্ছ প্রশ্নও তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। পর্যটন, নির্মাণের মতো ইস্যুতে হিমাচল সরকারের নীতি নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেও সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছিল, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে ভারতের মানচিত্র থেকেই মুছে যেতে চলেছে হিমাচল প্রদেশ।
গত কয়েকবছর ধরেই ধস, হড়পা বান, অতিবৃষ্টির মতো নানা বিপর্যয় নেমে এসেছে হিমাচলে। মাসখানেক আগেই প্রচণ্ড বৃষ্টির জেরে বন্যায় ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যোগাযোগ এবং পর্যটনের কথা মাথায় রেখে সাম্প্রতিক অতীতে প্রচুর নির্মাণ হয়েছে পাহাড়ি রাজ্যটিতে। সেই কারণে প্রকৃতিও হয়তো ক্ষুব্ধ। তাই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দায় নিতে হবে মানুষকেই। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, “বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী যদি সবকিছু চলতে থাকে তাহলে খুব দ্রুত এমন দিন আসতে চলেছে যেদিন ভারতের মানচিত্র থেকে হিমাচল প্রদেশ হয়তো মুছে যাবে। ঈশ্বর করুন এমন দিন যেন দেখতে না হয়।”
মঙ্গলবার আবারও হিমাচল প্রদেশ-সহ হিমালয় পর্বতের এলাকাগুলির প্রাকৃতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়, “এবার বর্ষায় প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে। তার জেরে হিমাচল প্রদেশের ক্ষয়িষ্ণু বাস্তুতন্ত্র আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণহানি হয়েছে, সম্পদ নষ্ট হয়েছে। এটাই স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, হিমাচল প্রদেশ এবং হিমালয়ের কোলে অবস্থিত অন্য এলাকাগুলি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।”
এখানেই শেষ নয়, হিমাচল প্রদেশের নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুষ্কর সিং ধামির সরকারকে। উল্লেখ্য, এর আগেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কেবল রাজস্ব আদায়ের দিকে মন দিলে চলবে না। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে প্রকৃতির দিকে নজর দিতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.