Advertisement
Advertisement

সোনু নিগমের পাশে দাঁড়িয়ে ইমামদের ‘মিথ্যাবাদী’ বললেন তসলিমা

আজান নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য তসলিমার।

Taslima Nasreen backs Sonu Nigam, dubs Imams as liars
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 20, 2017 7:29 am
  • Updated:October 8, 2019 2:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আজান’ বিতর্কে সোনু নিগমের পাশে এসে দাঁড়ালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। বুধবার রাতে এই বিতর্কিত লেখিকার টুইট, “ইমামরা মিথ্যাবাদী। ওঁরা টাকা দেবে না।” এই প্রসঙ্গেই তসলিমা উল্লেখ করেছেন, তাঁর মুখে কালি মাখানোর জন্য একবার কলকাতারই এক ইমাম ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। তসলিমার এক ‘বন্ধু’ তাঁর মুখে কালি মাখালেও সেই ৫০ হাজার টাকা দেননি বলে টুইট করেছেন ‘লজ্জা’র লেখিকা।

Advertisement

আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় বলে সম্প্রতি টুইটারে সরব হয়েছিলেন সোনু। তাঁর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু ইউনাইটেড কাউন্সিলের সহ-সভাপতি তথা মৌলবী সৈয়দ শাহ আতেফ আলি আল কাদরি ফতোয়া জারি করেন। হুমকি দেন, সোনুর মাথা কামিয়ে গলায় একজোড়া ফাটা জুতোর মালা পরিয়ে গোটা দেশে ঘোরাতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা ইনাম দেবেন। ইমামের ফতোয়ার যোগ্য জবাব দেন সোনু। নিজেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বুধবার মাথার সব চুল কেটে ফেলেন। তারপর দাবি করেন, তাঁর সোনুর ঘনিষ্ঠ আলিম ভাইকে যেন ওই ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়।

[‘শুধু মাথা কামালেই হবে না, ইনাম পেতে পূরণ করতে হবে বাকি দুই শর্ত’]

সোনুর এই সাহসিকতার প্রশংসায় মুখর হয়ে ওঠেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সোনুকে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক পোস্ট আছড়ে পড়ে। তখনই বেগতিক বুঝে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কাদরি জানান, তিনটের মধ্যে একটি শর্ত পূরণ হয়েছে। বাকি শর্ত পূরণ করলে তবেই মিলবে ইনাম। সোনুর মাথা কামানোর পর নেটদুনিয়ায় উঠছে একটাই প্রশ্ন, আদৌ ফতোয়ার ইনাম পাবেন তো সোনু? কিন্তু মৌলবী কাদরি এমন জল্পনা অঙ্কুরেই বিনাশ করে দিয়ে তিনটি শর্ত পূরণ করার দাবি করেছেন।

প্রসঙ্গত, আজান নিয়ে টুইট বিতর্কে বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে সোনু জানান, তিনি কখনওই মহম্মদকে অপমান করতে চাননি। তাঁর টুইটে মন্দির ও গুরুদ্বারের কথাও ছিল। কিন্তু সে কথা সামনে না এসে শুধু আজানের কথাই সামনে আনা হয়েছে। আগে টুইট করে জানিয়েছিলেন, এবার নিজের মুখে জানালেন, তিনি ইসলাম বিরোধী নন। তিনি শুধু জানাতে চেয়েছিলেন, লাউডস্পিকারের ব্যবহার কোনও ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা নয়। আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে তা করা হয় না। তাঁর দাবি, তিনি সাধারণ একটি বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তা নিয়ে অনর্থক জটিলতা তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে। সেরকমই তিনি একটি বিষয়ে মতামত জানিয়েছিলেন।

[মাথা কামিয়ে মৌলবীর ফতোয়ার ‘যোগ্য’ জবাব সোনুর]

টুইটারে তসলিমা আরও লিখেছেন, যে কোনও ধর্মীয় কারণে শব্দদূষণ বন্ধ হওয়া উচিত। আজান সুন্দর হতেই পারে কিন্তু ঘুমোনোর সময়, পড়াশোনা বা কাজের সময় কারও ইচ্ছা হতেই পারে তিনি আজান শুনবেন না। যদি প্রার্থনার জন্য উঠতে হয়, তাহলে ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে রাখা উচিত বলে টুইট করেছেন তসলিমা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement