Advertisement
Advertisement

দিল্লির এইমস-কে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার তসলিমা নাসরিনের

দ্বিতীয়বারে জন্য দেহদানের অঙ্গীকার, কিন্তু কেন?

Taslima Nasrin donated her body after death to AIIMS
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 22, 2018 9:01 pm
  • Updated:May 22, 2018 9:08 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর পর তাঁর নশ্বর দেহ লাগানো হোক চিকিৎসা ব্যবস্থার গবেষণার কাজে। সেজন্য মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করলেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মঙ্গলবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স বা এইমস কর্তৃপক্ষকে নিজের দেহদানের অঙ্গীকার করেন তিনি। টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করেছেন লেখিকা নিজে।

Advertisement

[তামিলনাড়ুতে আন্দোলনরত জনতার উপর পুলিশের গুলি, মৃত অন্তত ৯]

তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০০৫ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন তসলিমা নাসরিন। কিন্তু তাঁর রাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার দিল্লির এইমসে মরোণত্তর দেহদানের অঙ্গীকারপর্ব সারেন এই বিতর্কিত লেখিকা। বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তসলিমা নাসরিন। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘণ হয়েছে সেখানেই গর্জে উঠেছে তাঁর কণ্ঠ। সম্প্রতি, কলকাতা মেট্রোতে আলিঙ্গনরত এক যুগলকে গণপ্রহার দেওয়া হলে, তাঁর প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ভালবেসে দুজনের আলিঙ্গন করাকে মান্যতা দেওয়া হয়না। কিন্তু অনৈতিক কাজকে মান্যতা দেওয়া যায়।

[ভোটে হেরে সরকার গড়া বিজেপির পুরনো অভ্যেস, বিজেপিকে কটাক্ষ ইয়েচুরির]

Taslima

তসলিমা নাসরিনের সাতটি আত্মজীবনী গ্রন্থের অধিকাংশ নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার। ১৯৯৪ শরিয়ত আইনের অবলুপ্তি ঘটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে মৌলবাদীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তসলিমা নাসরিন। উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। তাঁকে নির্বাসিত করেছিল তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার। এরপরে জার্মানি, সুইডেন, আমেরিকার মতো একাধিক দেশে ছিলেন তিনি। ২০০০-তে ভারতে এসেছিলেন তসলিমা নাসরিন। ২০০৬-এ আবার বিতর্কে জরিয়েছিলেন। তাঁর উপর হয়েছে প্রাণঘাতী হামলাও।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement