সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কের জেরে পরিবার এবং দল থেকে তিনি বহিষ্কৃত। কিন্তু লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব সহজে লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ার পাত্র নন। বিহারের ভোটের ময়দান যে তিনি ছাড়বেন না, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন তেজ। ইঙ্গিত দিলেন, দরকারে নিজের আলাদা দল গড়ে ভোটে লড়বেন তিনি।
শুক্রবার সকালেই নিজের পুরনো বিধানসভা কেন্দ্র, বিহারের মহুয়ায় অনুগামীদের নিয়ে একটি মিছিল করেন তেজপ্রতাপ। তাঁর অনুগামীদের হাতে ছিল সবুজ-সাদা রঙের পতাকা। যা কিনা আরজেডির নিজস্ব পতাকার মতো নয়। পতাকার উপরে লেখা ‘টিম তেজপ্রতাপ যাদব’। তাতে আরজেডির লন্ঠন প্রতীকও নেই। ওই মিছিল থেকেই তেজপ্রতাপ বলেন, “মানুষের ইচ্ছাতেই আমি বেঁচে রয়েছি। মানুষ যা চান, আমি তা-ই করব। মানুষ যেখান থেকে চাইবেন, সেখান থেকে ভোটে লড়ব।” আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের বড় ছেলে এদিন ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেছেন, “কোন দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, তা পরে দেখাই যাবে।”
মাস দেড়েক আগেই তেজপ্রতাপকে দল থেকে বহিষ্কার করেন লালুপ্রসাদ যাদব। যাদব পরিবার সূত্রের খবর, দলীয় শৃঙ্খলা এবং পারিবারিক অনুশাসন না মানায় তেজপ্রতাপকে বহিষ্কার করা হয়েছে। লালু মনে করছেন, তেজপ্রতাপের কার্যকলাপে দল এবং পরিবার দুই ক্ষেত্রেই ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আসলে লালুর বড় ছেলে বরাবরই বিতর্কিত। দলের অনুশাসন কোনওদিনই মানেন না। মাঝে মাঝেই বিতর্কিত কারণে শিরোনামে থাকেন। যার ফলে দলকে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। সদ্যই এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তেজপ্রতাপ। দল থেকে বহিষ্কারের পর তেজপ্রতাপ এখন নীড়হারা পাখি।
তেজপ্রতাপ অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই আরজেডির মূল সংগঠন থেকে দূরে। একটা সময় ভাই তেজস্বীর সঙ্গে দলের ‘দখল’ নিয়ে দ্বন্দ্বও ছিল তাঁর। কিন্তু লালুর আশীর্বাদ বরাবরই ছিল তেজস্বী যাদবের দিকে। ভাইয়ের কাছে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে তেজপ্রতাপ মূল সংগঠন থেকে দূরে সরে যান। তবে দলে কমবেশি প্রভাব ছিল তেজপ্রতাপেরও। সেই তেজ যদি নতুন দল খোলেন, সেই দল আরজেডির ভোটব্যাঙ্কেই ভাগ বসাবে, এমনটাই আশঙ্কা তেজস্বী শিবিরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.