Advertisement
Advertisement
Aishwarya Rai

‘ভোটের আগে গোটা পরিবার একসঙ্গে নাটক করছে’, তেজপ্রতাপের বহিষ্কারে সরব স্ত্রী ঐশ্বর্য

'আমার জীবন কেন নষ্ট করা হল?' প্রশ্ন তুললেন ঐশ্বর্য।

Tej Prataps wife Aishwarya Rai made serious allegations against Lalu family

তেজপ্রতাপ ও ঐশ্বর্য।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:May 26, 2025 5:41 pm
  • Updated:May 26, 2025 5:41 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘তেজপ্রতাপের বহিষ্কার আসলে বিহার ভোটের আগে যাদব পরিবারের নাটক’, লালু ও রাবড়ি দেবীদের দুষে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলেন তেজপ্রতাপের স্ত্রী ঐশ্বর্য রাই। তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করলেন তিনি। ঐশ্বর্যের সোশাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে নতুন করে সরগরম হয়ে উঠল বিহার রাজনীতি।

Advertisement

সদ্যই এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তেজপ্রতাপ। শনিবার তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, তিনি ১২ বছর ধরে এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। প্রোফাইলে ‘ইন এ রিলেশনশিপ’ স্টেটাস দেওয়া হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই পোস্ট মুছে ফেলা হয় এবং তেজপ্রতাপ দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করা হয়েছিল। তবে গোটা ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। তিনি ঘোষণা করেন, “আমার বড় ছেলের আচরণ, দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ড কারখানা আমার পরিবারের মূল্যবোধের বিরোধী। তাই সবদিক ভেবে চিন্তে আমি ওকে দল এবং পরিবার থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে দলেও ওঁর কোনও ভূমিকা থাকবে না। পরিবারেও থাকবে না। ছ’বছরের জন্য ওকে দল থেকে বরখাস্ত করা হল।”

তবে লালুপ্রসাদের এই পদক্ষেপকে পুরোপুরি নাটক বলে অভিযোগ করেন তেজপ্রতাপের স্ত্রী ঐশ্বর্য রাই। স্বামীর কুকীর্তি প্রসঙ্গে ঐশ্বর্য বলেন, “আমার জীবন কেন নষ্ট করা হল? কেন আমার উপর শারীরিক নির্যাতন করা হল? এখন হঠাৎ করে ওরা সামাজিকভাবে সচেতন হয়ে উঠেছে। আসলে এরা সব এক। সামনে নির্বাচন, তাই এইসব নাটক শুরু করেছে ওরা।” এখানেই থামেননি ঐশ্বর্য। তিনি আরও বলেন, “সবাই জানে কী হয়েছে। যদি ছেলের কীর্তি সম্পর্কে আগে থেকে ওরা সব জানত, তাহলে কেন আমার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে আমার জীবন নষ্ট করল? যা কিছু তথ্য আমি পেয়েছি সব সংবাদমাধ্যমের দৌলতে। যাদব পরিবারকে জিজ্ঞাসা করুন কেন ওরা আমার জীবন নষ্ট করল? যখন আমায় মারধর করা হত তখন ওদের সামাজিক ন্যায়বিচার কথায় ছিল?”

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে মাসে মহা আড়ম্বরে বিয়ে হয়েছিল তেজপ্রতাপ ও ঐশ্বর্যর। তবে এক মাসের মধ্যেই অশান্তি শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর। তেজপ্রতাপ ডিভোর্সের মামলাও করেন, সেই মামলা চলছে ফ্যামিলি কোর্টে। ঐশ্বর্য লালু পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাবড়ি ও তাঁর বড় মেয়ে মিসা ভারতী তাঁকে মারধর করতেন, খেতেও দিতেন না। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর আকার নেয় যে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন ঐশ্বর্য। এই পরিস্থিতির মাঝেই ১২ বছর ধরে এক মহিলার সঙ্গে তেজপ্রতাপের সম্পর্ক বিহার রাজনীতিতে ডামাডোল তৈরি করল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ