Advertisement
Advertisement
Telangana

আমবাগান-কৃষিজমি-নগদ ১০ লক্ষ-গয়নাও কম, পণের জন্য বধূকে অনাহারে রেখে নির্যাতন! হাসপাতালে মৃত্যু

বধূর মৃত্যুর পরেই সপরিবার পলাতক অভিযুক্ত স্বামী।

Telangana woman dies mysteriously and family alleges starvation amid dowry
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:August 26, 2025 2:22 pm
  • Updated:August 26, 2025 2:23 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় তরুণী নিকি ভাটিকে পণের জন্য আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোল চলছে। এবার তেলঙ্গানায় পণের বলি এক গৃহবধূ। তাঁকে দিনের পর দিন খেতে না দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তরুণীকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি কোঠাগুদেম জেলার। মৃতার নাম লক্ষ্মী প্রসন্ন। তিনি খাম্মাম জেলার বিশ্বনাথপুরমের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে সম্বন্ধ করে নরেশ বাবুর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়েতে পণ হিসাবে পাত্রপক্ষকে দু’একর আমবাগান, এক একর কৃষিজমি, নগদ ১০ লক্ষ টাকা এবং ১০ লক্ষ টাকার গয়না দিয়েছিল কনেপক্ষ। লক্ষ্মী-নরেশের এক সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বছর দুয়েক হল তরুণীর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ।

লক্ষ্মী প্রসন্নর পরিবারের লোকেরা পুলিশে অভিযোগ করেছেন, লক্ষ্মীকে ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হত। সেকথা জানতে পেরে মা-বাবা মেয়েকে দেখতে গেলেও তাঁদের বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, মেয়ের উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাত নরেশবাবু। এমনকী তাঁকে দিনের পর দিন অনাহারে রাখা হত। শনিবার নরেশবাবু ফোন করে জানায়, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন লক্ষ্মী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান মা-বাবা। যদিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তরুণীর।

এই ঘটনায় নরেশবাবু, তাঁর মা, দিদি এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে পণের জন্য খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন লক্ষ্মীর পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। যদিও লক্ষ্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকেই সপরিবার পলাতক নরেশবাবু। পুলিশের অনুমান, সিঁড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার বিষয়টি বানানো। আদতে নরেশবাবুর নির্যাতনেই অসুস্ত হন লক্ষ্মী।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ