সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ দুই দশক তাঁদের কেউ পাশাপাশি দেখেনি। কিন্তু শনিবার মহারাষ্ট্রে মহামিছিলে দেখা যাবে রাজ ঠাকরে ও উদ্ধব ঠাকরেকে। মহারাষ্ট্র সম্প্রতি উত্তাল হয়েছিল বিজেপি প্রস্তাবিত ‘তিন ভাষা ফর্মুলা’ নিয়ে। শেষমেশ এই আবহে রাজ্যের স্কুলগুলিতে হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রত্যাহার করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এই ‘সাফল্য’কে মারাঠি অস্মিতার জয় হিসেবেই দেখছে রাজ্যবাসী। আর সেই জয় উদযাপনে যে মহামিছিল সেখানেই পাশাপাশি থাকবেন দুই ভাই। যার ফলে গুঞ্জন, তাহলে কি মহারাষ্ট্রে ফের নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ জন্ম নিচ্ছে?
কয়েকদিন আগেই হিন্দি আগ্রাসনের প্রতিবাদে যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঠাকরেরা দুই ভাই। দুই ভাই-ই বলেন, মহারাষ্ট্রের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে বিশেষ আপত্তি তাঁদের নেই। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই একটা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে নাকি বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের নির্বাচনে একসঙ্গে লড়তে চলেছে শিব সেনার উদ্ধব গোষ্ঠী এবং রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। আসলে সদ্যই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে দু’দলের। উদ্ধব কোনওরকমে মুম্বই এলাকায় নিজের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রেখেছেন। আর রাজ ঠাকরে নিজের ছেলেকেও জেতাতে পারেননি। দুই দলই অস্তিত্বের সংকটে। তাই অস্তিত্ব বাঁচাতে পুরনো পারিবারিক বিবাদে ঠাকরে পরিবার এক ছাতার তলায় চলে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ফলে শনিবারের মহামিছিলে চোখ থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের। রাজ ও উদ্ধব জোট বাঁধলে তা যে বর্তমান সরকারের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করবে তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে তিনটি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে। এও বলা আছে যে, কোনও রাজ্যের উপরে কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হবে না। এরপরেও মহারাষ্ট্রের মারাঠি এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দিকে বাধ্যতামূলক তৃতীয় ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাজ্যের গেরুয়া সরকার। এভাবে হিন্দিকে ভাষাকে ‘চাপিয়ে দেওয়া’ নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। শেষপর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রাজ্য সরকার। পরে তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.