সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পিছনে প্রকৃত কারণ কী ছিল তা এখনও অজানা। ফুয়েল সুইচেই গোলমাল নাকি পাইলটের গাফিলতি, নাকি বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটি- তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। কিন্তু এরই মাঝে জানা গিয়েছে যে বোয়িং ড্রিমলাইনারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা যা পাইলটের হস্তক্ষেপ ছাড়াও জ্বালানির জোগান বন্ধ করে দিতে পারে।
দু’দিন আগেই এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানের ফুয়েল সুইচে কোনও সমস্যা ছিল না। আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্টে এআইআইবির তরফে জানানো হয়, দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে জ্বালানির সুইচ ‘রান’ বা চালু অবস্থা থেকে ‘কাটঅফ’ অর্থাৎ জ্বালানির জোগান বন্ধের অবস্থায় চলে যায়। অর্থাৎ জ্বালানির সুইচে সমস্যা ছিল। কিন্তু আপাতত বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানের জ্বালানি সুইচে কোনও সমস্যা নেই বলেই জানিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়া। পরবর্তী পর্যায়ে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাইলটের ত্রুটির উপর এই দুর্ঘটনার দায় চাপানো ঠিক হবে না। তদন্ত এখনও চলছে জানিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া বলেছে, প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ফুয়েল কাটঅফ হয়ে যায়। অর্থাৎ ইঞ্জিনে জ্বালানির সরবরাহ ব্যাহত হয়েছিল। মার্কিন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারীক ইনস্পেক্টর জেনারেল মারি শিয়াভোর বক্তব্য, ১৩ জুন ঘটে যাওয়া ২৬০ জনের প্রাণঘাতী এই দুর্ঘটনার দায় পাইলটদের উপর চাপানো ঠিক নয়।
শিয়াভো জানিয়েছেন, “এই ধরনের বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার দায় পড়ে পাইলটের উপর। কিন্তু এটা অনেক সময়েই দেখা যায় যে প্রকৃত ঘটনা আদতে তা নয়। অনেক সময়ই পাইলটের কোনও রকম হস্তক্ষেপ ছাড়াই জ্বালানির জোগান ‘কাটঅফ’ হয়ে যায়। এর জন্য কোনওভাবেই পাইলটদের দায়ী করা উচিত নয়। অজস্র সন্দেহজনক বিষয় থাকে কিন্তু সকলেই সহজে ‘এটা তো পাইলটের ভুল’ বলে নিশ্চিন্ত হয়ে যায়।” পাইলটদের বিরুদ্ধে যে একের পর এক অভিযোগ তা একেবারেই অর্থহীন বলে জানিয়ে ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটস’-এর সভাপতি সি এস রণধাওয়া বলেছেন, পাইলটদের উপর যে দোষারোপ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অমূলক। যে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে তার অধিকাংশেরই কোনও যুক্তি নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.