Advertisement
Advertisement
Lalu Prasad Yadav

লালুর শরীরে প্রতিস্থাপিত কিডনি রোহিণীর নয়? কী বলছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ‘বিদ্রোহী’ কন্যা?

২০২২ সালে বাবাকে কিডনি দান করার পর শিরোনামে আসেন রোহিণী।

The kidney transplanted into Lalu Prasad Yadav's body is not Rohini Acharya's, What is the former Chief Minister's daughter saying
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:September 26, 2025 8:10 pm
  • Updated:September 26, 2025 8:10 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন বিহারে। তার আগে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারে। কয়েকমাস আগেই নিজের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবকে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) থেকে বহিষ্কার করেছেন লালু। তার মধ্যেই আবার ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠেছেন লালু-কন্যা রোহিণী আচার্য, যিনি কিডনি দান করে বাবার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। এসবের মাঝেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে লালুর শরীরে প্রতিস্থাপিত কিডনি আদৌ কি রোহিণীর? সমাজমাধ্যমে এখন এই নিয়ে চলছে জোর চর্চা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোটমুখী বিহারে একের পর এক ঘটনাক্রমে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছে আরজেডি।

Advertisement

রোহিণীর সঙ্গে দল এবং পরিবারের ফাটল ইতিমধ্যেই চওড়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, নিজের বাবা, ভাই তেজস্বী যাদব-সহ দলের এক্স হ্যান্ডলকে ‘আনফলো’ করে দিয়েছেন লালু-কন্যা। পাশাপাশি, পরিবারের দিকে ছুঁড়েছেন কটাক্ষও। এবার লালুর ‘কিডনি বিতর্ক’ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, “যাঁরা প্রমাণ ছাড়াই এধরনের অভিযোগ আনছেন, তাঁদের প্রকাশ্যে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রত্যেক মা-বোন-কন্যার কাছেও। মহিলাদের বিরুদ্ধে এধরনের মানহানিকর বা মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো কাম্য নয়।”

সম্প্রতি ‘বিদ্রোহী’ রোহিণীর একটি সোশাল মিডিয়া পোস্টে আলোড়ন পড়ে যায়। তিনি লেখেন, ‘আমি একজন কন্যা এবং বোন হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি এবং আগামী দিনেও করব। আমার কোনও পদের মোহ নেই। না কোনও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। আমার জন্য আত্মসম্মানটাই সব।’ ২০২২ সালে লালুপ্রসাদ যাদবকে কিডনি দান করেছিলেন রোহিণী। সেই সময়ের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের আত্মত্যাগের কথাও মনে করিয়েছেন লালু-কন্যা। তাৎপর্যপূর্ণ হল, রোহিণীর ওই পোস্টের পর আবার মুখ খুলেছেন লালুর ত্যাজ্যপুত্র তথা দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা তেজপ্রতাপ। তিনি বলছেন, “রোহিণী আমার চেয়ে অনেকটা বড়। ছোটবেলায় ওঁর কোলে আমি খেলেছি। আমি জানি বোন, স্ত্রী এবং কন্যা হিসাবে কী কী আত্মত্যাগ ও করেছে। ও যদি হতাশা প্রকাশ করে থাকে সেটা স্বাভাবিক।”

এসবের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ভোটের মুখে লালুর পরিবারে হচ্ছেটা কী? এই ক’দিন আগে তেজপ্রতাপকে বহিষ্কার করা হল। এবার ‘বিদ্রোহী’ আরও এক সন্তান! তাহলে কি ছোট ছেলে তেজস্বীকে যেভাবে লালুপ্রসাদ নিজের উত্তরসূরি হিসাবে বেছে নিয়েছেন, সেটা তাঁর বাকি সন্তানরা মেনে নিতে পারছেন না? প্রসঙ্গত, রোহিণী কিন্তু খুব বেশিদিন সক্রিয় রাজনীতি করেননি। ২০২২ সালে বাবাকে কিডনি দান করার পর তিনি শিরোনামে আসেন। ২০২৪ সালে তাঁকে লোকসভার টিকিট দেয় আরজেডি। তাতে অবশ্য তিনি হেরেই যান। তাহলে তিনি কি এবার বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট চাইছেন? এই প্রশ্নটিই এখন উঠতে শুরু করেছে। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ