প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের নাগরিক। সেখানকার বৈধ পরিচয়পত্র রয়েছে। ভোটও দেন। অথচ বিহারের খসড়া ভোটার তালিকাতেও নাকি রয়েছে তাঁর নাম। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে মিলল এমন হাজার হাজার ‘ভূতুড়ে’ ভোটারের খোঁজ। SIR-এর নামে ‘ভোটচুরি’র তথ্য ফাঁস হতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর চাপানউতোর।
‘দ্য রিপোটার্স কালেক্টিভ’-এর তথ্য বলছে, বিহারের বাল্মিকীনগর বিধানসভায় কমপক্ষে হাজারেরও বেশি এমন ভোটারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যাঁরা উত্তরপ্রদেশের ভোটার, তাঁদের নামই নাকি বিহারের ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে। কোনও কোনও ‘ভূতুড়ে’ ভোটারের ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় নাম-সহ নানা তথ্য এক। ঠিকানা এবং ছবি সম্পূর্ণ আলাদা। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, নাম এক। কিন্তু বানানের ক্ষেত্রে কিছু অক্ষর আলাদা। আবার বয়সও দুই রাজ্যের ভোটার কার্ডে দু’রকম। তার ফলে ডেটাবেসে দুই রাজ্যের নাগরিক যে আদতে একজনই, তা ধরতে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে।
এই তথ্য সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর।বিরোধীদের দাবি, শুধুমাত্র ভোটবাক্সে ফায়দা তুলতে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে নির্বাচন কমিশন এই কাজ করেছে। যদিও এই বিষয়ে কমিশন কিংবা গেরুয়া শিবিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বলে রাখা ভালো, এর আগে রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রথমবার ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা সমাবেশ মঞ্চ থেকেও একই ইস্যুতে সরব হন তিনি। দাবি করেন, ভুয়ো ভোটারদের ব্যবহার করে ভোট বাড়িয়ে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন জেতার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচন কমিশনের ‘আশীর্বাদে’ বিজেপি নেতারা এই কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তৃণমূলের চাপে সেবার অবশ্য নতিস্বীকারও করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ‘ভূত’ তাড়াতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হয়। বিহারে SIR আবহে প্রকাশ্যে আসা এমন বিস্ফোরক তথ্য যথেষ্ট ভাবনার বিষয়। তবে এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.