Advertisement
Advertisement
Andrew Yule Group

তরাই-ডুয়ার্সে কেন্দ্রীয় সংস্থার চা বাগানে বকেয়া পিএফ প্রায় ১০ কোটি! ‘মোদির জুমলা’, তোপ ঋতব্রতর

ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে মামলার দাবি তৃণমূল সাংসদের।

TMC attacks Modi govt on non-deposition of EPF contribution in tea gardens of Andrew Yule Group
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:August 1, 2025 2:49 pm
  • Updated:August 1, 2025 3:13 pm   

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: কারবালা, নিউ ডুয়ার্স, বানারহাট ও চুনাভাট্টি। কেন্দ্রের অধীনস্থ এই চার চা বাগানের শ্রমিকদের অভিযোগ, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা পড়েনি। এবার রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তা স্বীকারও করে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার এমনটাই জানালেন তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

ঠিক কী জানিয়েছে কেন্দ্র? ভারী শিল্প মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভূপতিরাজু শ্রীনিবাস বর্মা জানিয়েছেন, ভারী শিল্প মন্ত্রকের অধীনে থাকা অ্যান্ড্রু ইউল সংস্থার তরাই–ডুয়ার্স অঞ্চলের চারটি চা বাগানে ইপিএফ জমা পড়েনি। এর পিছনে প্রধান কারণ প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া। ছত্রাক ও পোকার আক্রমণের কারণে চা বাগানে যে ক্ষতি হয়েছে তার ধাক্কা সামলাতে গিয়েই কর্মীদের পিএফ জমা দেওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে জুন পর্যন্ত বাকি পড়া পিএফের পরিমাণের কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কর্মীদের বাকি পড়া পিএফের শতাংশের হিসেবও দিয়েছেন মন্ত্রী। জানিয়েছেন, কার্বালায় ২.৯৪ শতাংশ, নিউ ডুয়ার্সে ২.৮১ শতাংশ, বানারহাটে ২.২৯ ও চুনাভাট্টিতে ৩.৫৬ শতাংশ জমা পড়া বাকি।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলার সময় এদিন ঋতব্রত জানিয়েছেন, ”যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তা ভয়াবহ। জমা না পড়া টাকার পরিমাণ ৯ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। সাধারণ চা শ্রমিকদের হকের টাকা আটকে রেখেছেন? জমা দিচ্ছেন না? পিএফ জমা না পড়া একটা অপরাধ। সেই অপরাধী এক্ষেত্রে মোদি সরকার নিজে। অথচ মোদি সেখানে যান, তাঁর পারিষদরাও যান। চা নিয়ে দরদ উথলে উঠছে! অথচ চারটি চা বাগানে শ্রমিকদের ন্যায্য পিএফ জমাই করা হল না?” পুরো বিষয়টিকে মোদি সরকারের ‘জুমলা’ বলেও তোপ দাগেন তিনি। প্রশ্ন করেন, এক্ষেত্রে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে কি মামলা করা হবে?

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হন ঋতব্রত। তারপর থেকেই রাজ্যসভায় নানা বিষয়ে সরব হয়েছেন ঋতব্রত। যার মধ্যে অন্যতম চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি দিতে বিলম্বের অভিযোগ। উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলিতে মজুরি বিলম্ব একটি দীর্ঘকালীন সমস্যা। যেখানে বারংবার শ্রমিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ উন্নততর করার দাবি জানানো হয়। এবার শ্রমিকদের ন্যায্য টাকা আটকে রাখার দাবি করে সরব হলেন তিনি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ