Advertisement
Advertisement
TMC

ইন্দিরা-বাজপেয়ীর সঙ্গে তুলনা, সংসদে বিশেষ অধিবেশনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা তৃণমূলের

বাদল অধিবেশন পর্যন্ত অপেক্ষা নয়, জুনেই বিশেষ অধিবেশন চাইছেন কাকলি, সাগরিকারা।

TMC mentions Indira Gandhi and Atal Bihari Vajpayee called special session in war situation to Modi Govt regarding Operation Sindoor
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 28, 2025 2:32 pm
  • Updated:May 28, 2025 2:32 pm  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য দেশবাসীর দরবারে তুলে ধরতে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি তুলেছে তৃণমূল। পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিদেশে গিয়েছেন সংসদীয় প্রতিনিধিরা। তাঁরা ফিরলেই বিশেষ অধিবেশন চাইছে বাংলার শাসকদল। কেন সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই অধিবেশন প্রয়োজন, বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার উপ দলনেতা কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাগরিকা ঘোষ। আর তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের তুলনা টানলেন তাঁরা।

এদিন সকালে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন দুই তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও সাগরিকা ঘোষ। কাকলির ব্যাখ্যা, ”পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে ধারাবাহিকভাবে সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপ দেশবাসীর জানা উচিত বলে মনে করি আমরা। আমাদের নেত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বার্তা দিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের যে কোনও সিদ্ধান্তের পাশে রয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতের ঐক্য বোঝাতে কেন্দ্রের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের বিদেশ সফর। আর দেশের অন্দরেও সেই ঐক্যের বার্তা দেওয়া অবশ্যম্ভাবী। আর তার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন সেই কাজ করতে পারে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধী এবং তার পরবর্তীতে, ২০০১ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার এভাবেই বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিল। এবারও মোদি সরকারের কাছে সেই আবেদন জানাচ্ছে তৃণমূল। তবে জুলাইয়ে বাদল অধিবেশনে সময় নয়, তার আগে বিদেশ থেকে প্রতিনিধি দল ফিরলে জুন মাসেই বিশেষ অধিবেশন চাইছি আমরা।”

রাজ্যসভা উপ দলনেতা সাগরিকা ঘোষের বক্তব্য, ”পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর পহেলগাঁও হামলা শুধু ভারতে নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় যে সন্ত্রাসবাদের শিকড় ছড়িয়ে পড়েছে, তা স্পষ্ট। আমরা নিজেরা গিয়ে কাশ্মীরের রাজৌরি, পুঞ্চের পরিস্থিতি দেখেছি। কী যে ভয়াবহ অবস্থা! আমাদের দল বারবার জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের যে কোনও সিদ্ধান্তের পাশে রয়েছি। বিদেশের প্রতিনিধি দলে আমরা অন্য কাউকে নয়, আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছি। তিনি নানা দেশ ঘুরে ভারতের একতার ছবিটা তুলে ধরছেন। তাঁরা ফিরলেই আমরা বিশেষ অধিবেশন চাই, যেখানে রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে সকলে এক সুরে কথা বলবেন।” এভাবেই বিশেষ অধিবেশনের জন্য কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে আরও একধাপ এগোল বাংলার শাসকদল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement