সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদ ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত। রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা তথা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে জবাবও দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
অভিষেক মোট পাঁচটি প্রশ্ন তোলেন। রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় কেন্দ্রের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? বাংলাদেশের তরফে কাছারিবাড়ির নিরাপত্তা সম্পর্কে কী আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে? এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে? ভাঙচুরের ঘটনায় ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? সংস্কৃতি রক্ষায় ভারত-বাংলাদেশ কোনও যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে? এই পাঁচ প্রশ্নের জবাব দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। জানানো হয়েছে, রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টার জোরালো নিন্দা করা হয়েছে। বাংলাদেশকে এই ঘটনায় কঠিন শাস্তির বন্দোবস্ত করার কথা বলাও হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার অন্যতম আকর্ষণ রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক ভিটে কাছারিবাড়ি। বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটিতে প্রত্যেকদিন বহু মানুষ ভিড় জমান। ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত দোতলা বাড়িটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগের অধিগ্রহণে রয়েছে। বাংলাদেশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ৮ জুন কাছারিবাড়ির দায়িত্বরত কর্মচারী ও একজন দর্শনার্থীর মধ্যে পার্কিং টিকিট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতি এবং মারপিটের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জনৈক শাহনেওয়াজ নামে একজন দর্শনার্থীকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগও পাওয়া যায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। সেদেশের প্রশাসনের তরফে বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে। এর বাইরে কোনও সাম্প্রদায়িক কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.