নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: যোগীরাজ্যে পাঠ্যবই থেকে বাদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশনে তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এই মর্মে প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, উত্তরপ্রদেশ বোর্ড অফ এডুকেশন কি দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাদ দিয়েছে? কিন্তু এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে চেয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশ বোর্ড অফ এডুকেশন কি দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাদ দিয়েছে? যদি বাদ দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে তার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হোক। সেই প্রশ্নের লিখিত জবাবে জয়ন্ত জানান, পাঠ্যক্রমে কোনও লেখার অন্তর্ভুক্তি বা কোনও লেখা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শিক্ষা নিয়ামক প্রশাসনিক বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়। সাফ কথায় উত্তরে এড়িয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। সরকার জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ বোর্ড অফ এডুকেশন একমাত্র এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অধিকারী।
কেন্দ্রের এহেন উত্তরকে ধরি মাছ না ছুঁই পানি বলে কটাক্ষ করেছেন ঋতব্রত। তিনি বলেন, “উত্তর পেয়েছি। উত্তর তো হয় হ্যাঁ হবে নয়তো না। বাদ গিয়েছে কি যায়নি। এটাই তো জানতে চেয়েছিলাম। সেখানে উত্তরপ্রদেশ জানে, আমরা জানি না। এখানে নরেন্দ্র মোদির সরকার আর উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার। ডবল ইঞ্জিন সরকার।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিজেপি ভয় পায় বলে কটাক্ষ করে ঋতব্রত আরও বলেন, “যাঁর সামনে সারা বিশ্ব মাথা নত করেছিল সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিজেপি যে ভয় পায় তা বোঝা যায়। সেইজন্যই তারা বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবই থেকে রবীন্দ্রনাথের লেখা বাদ পড়েছে। ডবল ইঞ্জিনের সরকারগুলির রাজ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে রবীন্দ্রনাথকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।” বিশ্বকবির লেখাকে এভাবে ছেঁটে ফেলাটা শিক্ষাব্যবস্থার গৈরিকীকরণ হিসাবেই দেখছে বিরোধীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.