ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার খোদ সংসদে বাংলার অপমানের অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল। বাংলা ও বাঙালির উপর ‘অত্যাচার’ ইস্যুতে নিজেদের প্রতিবাদ জারি রাখতে শুক্রবার বাংলার মনীষীদের ছবি দেওয়ার ব্যাজ পরেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু সেই ব্যাজ নিয়ে রাজ্যসভায় আপত্তি তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের অধিবেশন কক্ষে কোনওরকম প্ল্যাকার্ড, হোর্ডিং নিয়ে প্রতিবাদ জানানো যায় না। সেকথা মাথায় রেখেই ঋতব্রতর বক্তব্য, ”আমরা কোনও প্ল্যাকার্ড দেখাইনি। শুধুমাত্র বাঙালি মনীষীদের ছবি দেওয়া ব্যাজ পরেছি। তাতেও আপত্তি কেন?’’
বাংলা ও বাঙালির উপর লাগাতার অত্যাচারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় স্তরে বাঙালি অস্মিতা তুলে ধরতে মরিয়া বাংলার শাসকদল। দিল্লির দরবারে এনিয়ে তৃণমূল সাংসদদের প্রতিবাদ জারি রেখেছেন। শুক্রবার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে একটি বিশেষ ব্যাজ তৈরি করেছিল তৃণমূল। তাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছাড়াও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, রামমোহন রায় থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম বসু, বিনয়-বাদল-দীনেশ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – বাংলার প্রায় সব বিশিষ্ট ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি রয়েছে। ছবির উপরে লেখা – জয় হিন্দ, নিচে লেখা – জয় বাংলা। এই ব্যাজ পরেই শুক্রবার রাজ্যসভা অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু সেই ব্যাজ পরা নিয়ে রাজ্যসভায় আপত্তি তোলা হয় বলে অভিযোগ।

বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ”অধ্যক্ষের চেয়ার থেকে জয় বাংলা, জয় হিন্দ স্টিকারের বিরোধিতা করা হয়। জানানো হয় যে এটা পরে অধিবেশন কক্ষে ঢোকা যাবে না।” তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘রবীন্দ্রনাথ জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন। রামমোহন ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ। বাংলা ছিল ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের ভূমি। ওরা তাঁদের অপমান করছে। ২০২৬ সালের ভোটে এই অপমানের জবাব ওরা পাবে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.