নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলা ও বাঙালির উপর অত্যাচার ও অপমান নিয়ে সংসদে শুরু থেকেই তীব্র প্রতিবাদ করে আসছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ায় ঝাঁজ আরও বাড়ল। ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য সাংসদরাও এই ইস্যুতে পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের। পাশাপাশি বিহারের SIR এবং ভোটচুরির অভিযোগে ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভেও শামিল হন তৃণমূল সাংসদরা।
দিল্লিতে পৌঁছেই বাংলা ও বাঙালিদের অপমান-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সাংসদদের সরব হতে নির্দেশ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মেনেই শুক্রবার সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা সংসদ চত্বরে মকরদ্বারের সামনে তুমুল প্রতিবাদ জানান। জাতীয় সংগীতের অপমান দেশদ্রোহিতার সমান, বাংলা ও বাঙালির অপমান মানছি না মানব না, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষী ও বাঙালিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে কেন জবাব দাও স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সংসদ চত্বর। ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলের সাংসদরাও এই বিক্ষোভে শামিল হন।
এর পাশাপাশি বিহারের SIR এবং নির্বাচন কমিশনের ভোটচুরির অভিযোগেও সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখান ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। সেই বিক্ষোভেও শামিল হয় তৃণমূল। সেখানে দোলা সেন, শতাব্দী রায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়াদের সঙ্গে যোগ দেন অভিষেক নিজেও। স্লোগান ওঠে, ‘নির্বাচন কমিশন হায় হায়’, ‘নির্বাচন কমিশন শেম শেম’। বস্তুত বৃহস্পতিবার রাতেই রাহুল গান্ধীর বাড়িতে নৈশভোজে সংসদে পারস্পারিক সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করেন ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। রাহুলের অনুরোধে ওই বৈঠকে যোগ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন সংসদ চত্বরে ফের ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয়ের ছবি চোখে পড়ল।
উল্লেখ্য, এদিন সংসদে যাওয়ার আগে অভিষেক একবার দলীয় দপ্তরেও যান। সেখানে সদ্য লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁকে সংবর্ধনা দেন সাংসদরা। এছাড়া উপদলনেতা শতাব্দী রায় এবং চিফ হুইপ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.