Advertisement
Advertisement
TMC

ভিনরাজ্যে বাঙালি ‘নিগ্রহ’ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি খারিজ, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

২১ জুলাইয়ের মঞ্চে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে সরব হন।

TMC wants discussion on illegal persecution, detention, and deportation of Bengali-speakers in BJP ruled states
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 23, 2025 1:58 pm
  • Updated:July 23, 2025 5:09 pm  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের নিগ্রহ ও হেনস্তা ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে সংসদে নোটিস দিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি ছিল, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে যেভাবে স্রেফ বাংলা বলার ‘অপরাধে’ নিরপরাধদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে, সেটা নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু তৃণমূলের সেই দাবি খারিজ করে দিল কেন্দ্র।

Advertisement

এদিন সংসদে ২৬৭ ধারায় বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের বেআইনিভাবে হেনস্তা, ডিটেনশন এবং নিগ্রহ নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দেয় তৃণমূল। কিন্ত কোনও কক্ষেই তা গৃহীত হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলের পাশে ছিল কংগ্রেসও। হাত শিবিরও এদিন ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তা ইস্যুতে আলোচনা চেয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের নোটিস গৃহীত হয়নি। পরে এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সংখ্যাধিক্যের বলে সংসদে নোটিস খারিজ করা যায়। কিন্তু মানুষের আন্দোলনকে রুখে দেওয়া যায় না।

তৃণমূল সাংসদ বলেন, “বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা বলাটা যেন অপরাধে পরিণত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে বাংলা এবং বাঙালিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা সেটা নিয়েই সংসদে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। এভাবে এখানে আমাদের কন্ঠরোধ করতে পারে কিন্তু বাংলা এবং বাঙালির কণ্ঠরোধ করতে পারবে না।” ঋতব্রত জানিয়েছেন, এদিন সংসদ অধিবেশন মুলতুবি হয়েছে। আগামী দিনে ফের এই ইস্যু সংসদে তুলবে তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে সরব হন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চলছে। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা বিরোধী সার্কুলার পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই সার্কুলারে বলা আছে স্রেফ সন্দেহের বশে মানুষকে একমাসের জন্য আটকে রাখা যাবে। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ ছিল, “এক হাজারের উপর মানুষকে মধ্যপ্রদেশ, কাউকে ওড়িশা তো কাউকে রাজস্থানের জেলে ভরা হয়েছে।” একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হুঙ্কার দেন, “কে কোন ভাষায় কথা বলবে, কে কী খাবে, তা নিয়েও বলে দেবে! জেনে রাখবেন, এখানে সবার অধিকার রক্ষিত হবে।” এবার সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা চায় তৃণমূল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement