সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেশের গণতন্ত্র এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল নয়। সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। দিন কয়েক আগে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ধনকড়। এবার তাঁর গলাতেই শোনা গেল গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার কথা।
সোমবার রাজস্থানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ধনকড় বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেশের গণতন্ত্র এবং সামাজিক পরিকাঠামোর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, এটি আমাদের প্রাচীন সভ্যতার মূল্যবোধের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়।” তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা কখনই শত্রু নয়। শত্রু সীমান্তের ওপারে থাকতে পারে, কিন্তু দেশের ভিতরে থাকা উচিত নয়।” একইসঙ্গে তিনি দেশের আইনপ্রণেতাদেরও শালীনতা বজায় রাখা আহ্বান জানিয়েছেন। ধনকড়ের মতে, অইনপ্রণেতারা শালীনতা বজায় না রাখলে দেশের জনগণ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি আস্থা হারাবেন। ধনকড় বলেন, “সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিরা প্রায়শই সমালোচনার শিকার হয়। বিশেষ করে যখন কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকে।”
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে সংবিধান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “প্রস্তাবনা হল সংবিধানের প্রাণ। আমাদের সংবিধান প্রণেতারা এখানে যে শব্দগুলি প্রয়োগ করেছিলেন তা ভেবেচিন্তেই করা হয়েছিল। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থা জারি করে দেশবাসীর মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। তখনই সংবিধানের প্রস্তাবনায় যুক্ত করা হয় ‘সমাজতান্ত্রিক’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘অখণ্ডতা’ এর মতো শব্দগুলি।” এই ঘটনাকে দেশের সংবিধানের একটি ক্ষত বলে উল্লেখ করে ধনকড় বলেন, “বিশ্বের কোনও গণতান্ত্রিক দেশে এমনটা ঘটেনি। ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে এটা হয়েছিল। জনগণের সম্মতি ছাড়া, কোনও আলোচনা ছাড়া সংবিধানের আত্মাকে বদলে দেওয়া হয়েছিল।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে সংবিধান বদলের ধুয়ো তোলা ধনকড়ের মুখেই এবার গণতন্ত্র নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনা গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.