ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপনির্বাচনে লজ্জার হারের পর ভাঙন পাঞ্জাব কংগ্রেসে। প্রদেশ সভাপতি হারের দায় এড়ানোর পর দলকে দুষে ইস্তফা দিলেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের দুই সহ-সভাপতি। মঙ্গলবার সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল ও পাঞ্জাব কংগ্রেসের ইনচার্জ ভূপেশ বাঘেলের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন পারগত সিং ও কুশলদীপ সিং।
গত ২৩ এপ্রিল দেশের ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে ছিল উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ। এই তালিকায় পাঞ্জাবের লুধিয়ানা। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, এই কেন্দ্রে আপ প্রার্থীর কাছে লজ্জার হার হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী ভারত ভূষণ আশুর। এই পরাজয়ের দায় স্বীকার করে দলের কার্যকরী সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন আশু। এই ঘটনায় পরগত সিং জানান, এই হার ব্যক্তিগত নয়। বরং পুরো দলের ব্যর্থতা। দলকে আত্ম সমালোচনার পরামর্শও দেন তিনি। এদিকে জানা যায়, এই নির্বাচন উপলক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করেননি প্রদেশ সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং এবং বিরোধী দলনেতার পদে থাকা প্রতাপ সিং। দলের একাধিক শীর্ষ নেতা হারের দায় চাপান ওয়ারিং-এর উপর। এই ডামাডোলের মাঝেই দল থেকে ইস্তফা দিলেন দুই শীর্ষ নেতা।
এই ঘটনায় পাঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “আমি কোনও পদত্যাগপত্র পাইনি। দলের হাই কমান্ডের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা।” তবে ওয়ারিং বিষয়টি নিয়ে গা ছাড়া মনোভাব দেখালেও যারপরনাই ক্ষুব্ধ পাঞ্জাব কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবির। তাঁদের অভিযোগ, দলে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপোষণ করে চলেছেন প্রদেশ সভাপতি। এমনটা চলতে থাকলে আগামীদিনে পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অস্তিত্ব সংকট।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়ে পাঞ্জাবে ক্ষমতায় আসে আম আদমি পার্টি। ১১৭ আসনের মধ্যে ৯২টি আসনে জয় পায় তারা। মুখ্যমন্ত্রী হন ভগবন্ত মান। পালাবদলের পরই কার্যত ভাঙন ধরে পাঞ্জাব কংগ্রেসে। দলীয় কোন্দলের জেরে দল ছাড়েন বহু নেতা। আগামী ২০২৭ সালে এখানে বিধানসভা নির্বাচন তার আগে উপনির্বাচনের পরও যেভাবে এখানে দলীয় কোন্দল সামনে আসতে শুরু করেছে তা হাইকমান্ডকে চিন্তায় ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.