সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি এইমসে পুরীর অগ্নিদগ্ধ কিশোরীর মৃত্যুর পর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল ঘটনায় তিন দুষ্কৃতী জড়়িত রয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, ঘটনায় অন্য কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ তারা পায়নি। তাহলে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে? তেমনটাই দাবি তার বাবা। নাবালিকার বাবা একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, মানসিক চাপের জন্য তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে দিল্লির এইমসে শেষ নিশ্বাস ফেলেছে পুরীর কিশোরী। তারপরই ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাদের তদন্ত শেষ পর্যাযে পৌঁছেছে। ঘটনায় তারা কোনও দুষ্কৃতীদের যুক্ত থাকার প্রমাণ পায়নি।
এরপর মৃতার বাবার একটি আবেগঘন ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে তার বাবা জানান, তিনি অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন। বিষয়টিকে নিয়ে জলঘোলা ও রাজনীতি না করার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছি। কোনও দুষ্কৃতী নয়, মানসিক চাপের কারণে ও নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই যে ওড়িশা সরকার আমার এবং আমার পরিবারের জন্য অনেক কিছু করেছে। আমি সকলকে অনুরোধ করছি এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”
উল্লেখ্য, ১৯ জুলাই পুরীর রাস্তায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কিশোরী রাস্তায় দৌড়ানোর ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। স্থানীয় বাসিন্দা দুঃখীশ্যাম সেনাপতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “মেয়েটি আমার বাড়ির দিকে দৌড়ে আসছিল। তখনও ওর গায়ে আগুন। হাত-বাঁধা ছিল। আমি, আমার স্ত্রী এবং মেয়ে আগুন নিভিয়ে নতুন পোশাক পরিয়ে দিয়েছিলাম। মেয়েটি আমাকে বলেছিল দু’টি বাইকে তিনজন লোক তাকে জোর তুলে এনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।” এই ঘটনার পর তিন অজ্ঞাতপরিচিতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও জানায় মৃতার মা। তদন্তে নামে পুলিশ। তবে তারা জানিয়েছে, ঘটনায় কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। মৃত্যুকালীন অবস্থায় কিশোরী মিথ্যা বলবে কেন? বা প্রায় ১৫ দিন মেয়ে যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সেই সময় কেন মুখ খোলনি তার বাবা? মৃতার মা পুলিশে অভিযোগ জানালেও তিনিও এখন চুপ। তাহলে কি কোনও রমক চাপ দেওয়া হচ্ছে মৃতার পরিবারের উপর? উত্তর অধরা। ঘটনায় চড়ছে পারদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.