সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কালে শতাব্দীর প্রথম সাধারণ বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অতিমারীর আবহে দেশকে ফের উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ মন্ত্রই আওড়ালেন তিনি।
In May 2020, Govt announced the Atmanirbhar Bharat package, to sustain the recovery further we also rolled out two more Atmanirbhar packages. Total financial impact of all packages including measures taken by RBI was estimated to be about Rs 27.1 lakh crores:FM Nirmala Sitharaman
Advertisement— ANI (@ANI)
A new centrally sponsored scheme PM Atmanirbhar Swasth Bharat Yojana will be launched with an outlay of about 64,180 crores over 6 years: Finance Minister Nirmala Sitharaman.
— ANI (@ANI)
সংসদে বিরোধীদের হট্টগোলের মাঝে ‘পেপার লেস’ বাজেট পেশ করে নির্মলা বলেন, “আমরা আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে বাজেট তৈরি করেছি। ধারাবাহিক বৃদ্ধির চেষ্টা থাকবে এই বাজেটে। ৫৪ হাজার কোটি টাকা স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ হয়েছে। এর ফলে ১৭ হাজার স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান পুনরুজ্জীবিত হবে। সরকার যে আত্মনির্ভর প্রকল্প নিয়েছে তা জিডিপির ১৩ শতাংশ। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে আমরা দায়বদ্ধ। করোনা ভ্যাকসিন তৈরিতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য উৎপাদন ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে হবে। ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরকে মজবুত করতে পাঁচ বছরে ১.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। করোনা টিকার জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “গরিব মানুষের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করছে সরকার। এর আগে তিনটি আত্মনির্ভর প্যাকেজ প্রায় তিনটি মিনি বাজেটের সমান ছিল।” এছাড়া, ‘PM Atmanirbhar Swasth Bharat Yojana’ প্রকল্প শুরুর কথা ঘোষণা করলেন নির্মলা। আগামী ছয় বছরে এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬৪ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে করোনার জেরে আর্থিক সঙ্কট থেকে ত্রাণের জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার ‘আত্মনির্ভর’ প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্র। কৃষি-মৎস্য-দুগ্ধজাত পণ্যের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ ঘোষণা করলেও চাহিদা বাড়ানো বা মানুষের খাতায় সরাসরি টাকা দেওয়ার বিষয়ে সম্পূর্ণ মৌন ছিলেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি, মধ্যবিত্তের জন্য ট্যাক্স ছাড় বা অন্য কোনওরকম ঘোষণাই স্থান পায়নি ‘আত্মনির্ভর’ প্যাকেজে। প্রশ্ন হচ্ছে, লকডাউনে চাহিদা ঠেকেছে তলানিতে, ব্যবসা বন্ধ হকারদের, সে ক্ষেত্রে তাঁরা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে লোন নেবেনই বা কেন? বাজারে খদ্দের নেই, সেক্ষেত্রে নতুন করে পসরা সাজাবেই বা কেন তাঁরা? ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন প্রযোজ্য।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদর মতে, অর্থনীতির দু’টি দিক হচ্ছে-চাহিদা ও যোগান। আনলক পর্বেও চাহিদার গ্রাফ তেমন আশা জাগায়নি। সে ক্ষেত্রে সরাসরি ব্যাংক খাতায় টাকা দেওয়া-সহ অন্যান্য চাহিদা বাড়ানোর দাওয়াই না দিয়ে, সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে লোন জোগান দিতে ব্যস্ত। অর্থাৎ জোগানের দিক নিয়েই বেশি ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। করোনা আবহে আতঙ্কিত মধ্যবিত্তদের আয়করে কিছুটা ছাড় দিয়ে বাজারমুখী করা যেতেই পারত। এদিকে অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, লকডাউনের জেরে গত দু’মাসে প্রবল ধাক্কা খেয়েছে রাজকোষ। তাই এবার মানুষের হাতে নগদ পৌঁছে দেবে সরকার বলেই আশা এই বাজেটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.